ভারতের কাছ থেকে পাওয়ার সংখ্যাই বেশি: কাদের

ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে বিএনপির সমালোচনার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সোমবার বলেছেন, কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হয়। দেয়া নেয়ার সম্পর্ক থাকতে হবে।

সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভারতের কাছ থেকে পাওয়ার সংখ্যাই বেশি। ছিটমহল বিনিময় ও সমুদ্রসীমা তার প্রমাণ। সীমান্ত চুক্তি ৬৮ বছর পর বাস্তবায়ন করেছে শেখ হাসিনা ও মোদি সরকার। সম্পর্ক ভালো থাকলে কিছু পাওয়া যায়। বৈরি সম্পর্ক থাকলে সামনে এগোনো যায় না।’

তিস্তা চুক্তি বিষয়ে সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, ‘এ বিষয়ে ভারত সরকারের সদিচ্ছার কোনো কমতি নেই। শেখ হাসিনার আমলে গঙ্গা চুক্তি হয়েছে, শেখ হাসিনার আমলেই তিস্তা চুক্তি হবে।’

প্রসঙ্গত সম্প্রতি নয়াদিল্লি সফরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে সাতটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় এবং দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে তিনটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন। তবে এসব চুক্তির বিরোধীতা করে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের চুক্তি আড়াল করতেই সম্রাটকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বিএনপির এমন দাবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা হাস্যকর মনে হয় না? দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানের সাথে প্রধানমন্ত্রীর সফরের সম্পর্ক কী? গ্রেপ্তারে কেন বিলম্ব হয়েছে সেটা র‌্যাবের ডিজি ব্যাখ্যা দিয়েছেন।’

বাংলাদেশে শেষ পর্যন্ত কেউ রেহাই পায় না। পালিয়ে থাকার মতো অবস্থা সৃষ্টি করা যায়। তবে সেটি ফলপ্রসূ হয় না, এক পর্যায়ে ধরা পড়বেই। তিনি (সম্রাট) দেশের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, তাই সীমান্তের কাছাকাছি একটি বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন, যোগ করেন কাদের।

ক্যাসিনো ব্যবসার আরও যেসকল নেতকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তাদের কখন গ্রেপ্তার করা হবে জানতে চাইলে তিনি, এখানে কোনো প্রকার গোপনীয়তা নেই। যারা অন্যায়, অপরাধ করছে তাদের সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ‘আমরা যা বলছি শুধু মুখেই না, তা প্রমাণিত। অভিযান চলছে, চলবে।’

আরও কোনো চমক থাকছে কিনা এমন প্রশ্নে কাদের বলেন, ‘যা হয়েছে সেটাই দেখতে থাকুন, ভবিষ্যতে যা হবে তাও দেখবেন।’

যুবলীগ নিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের সম্মেলন হচ্ছে। চারটি সহযোগী সংগঠনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। নভেম্বরের মধ্যেই সম্মেলনের কাজ শেষ করতে চিঠি দিয়ে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারা সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

‘নেত্রী সম্মেলনের প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন। তার কাছে সময় চাওয়া হচ্ছে। যুবলীগের কাউন্সিলররা ঠিক করবেন তারা কাদের নেতৃত্বে আনবেন। পার্টির সভাপতি ফাইনাল অথরিটি। তিনি পরিবর্তন করতে চাইলে অবশ্যই করবেন। বয়সের বিষয়টি অগ্রাধিকার দেয়া হবে,’ বলেন তিনি। তথ্য-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ