ভারতে ৪০ লাখ বাসিন্দাকে অবৈধ ঘোষণা

ভারতের আসামে ৪০ লাখ বাসিন্দাকে ভারতীয় নাগরিকদের চূড়ান্ত খসড়া তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে অবৈধ হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। খবর এনডিটিভি’র।

বাংলাদেশ থেকে আসামে প্রবেশকারী অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করতেই মূলত এ তালিকা করা হয়েছে। ১৯৫১ সালের পর এই প্রথমবার আসামে নাগরিকদের জাতীয় নিবন্ধন(এনআরসি) তালিকা পুনরায় করা হয়েছে।

কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে খবরে বলা হয়, এটা কেবল একটি খসড়া। কাওকে এর জন্যে আসাম থেকে বের করে দেওয়া হবে না বা এর ওপর ভিত্তি করে শাস্তি দেওয়া হবে না।

কিন্তু সমালোচকরা তালিকাটি দেখছেন ভিন্ন দৃষ্টিতে। তাদের মতে এই তালিকার মাধ্যমে আসামের মুসলিম জনসংখ্যাকে টার্গেট করা হয়েছে। তাদেরকে বাংলাদেশ থেকে আগত অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত করার উদ্দেশ্যেই এই তালিকা করা হয়েছে।

এদিকে, পুরো রাজ্যজুড়ে বিরাজ করছে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি। নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত সেনা।

তবে তালিকায় নাম না ওঠা ব্যক্তিরা ৩০ আগস্ট পর্যন্ত অভিযোগ দাখিল করতে পারবেন।

আসামের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দায়িত্বে থাকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মী সত্যেন্দ্র গার্গ বলেন, এই খসড়ার ওপর ভিত্তি করে বৈদেশিক ট্রাইব্যুনালে কোন মামলা করা হবে না বা কাওকে বন্দি করা হবে না।

আসামে নাগরিকত্ব নিশ্চিতকরণের জন্য আবেদন করেছিলেন ৩ কোটি ২৯ লাখ মানুষ। এর মধ্যে তালিকায় নাম ওঠেছে ২ কোটি ৮৯ লাখ মানুষের। যাদের নাম তালিকায় ওঠেনি তারা, ৩০ আগস্ট পর্যন্ত অভিযোগ দাখিল করতে পারবেন ও নিজের নাগরিকত্ব দাবি করে আবেদন করতে পারবেন।

নতুন এনআরসি তালিকায় কেবলমাত্র আসামের ওইসব নাগরিকদের নাম ওঠেছে যারা ১৯৭১ সালের ২১ মার্চের আগ থেকে সেখানে বসবাস করার প্রমাণ সরবরাহ করতে পেরেছে।

১৯৫১ সালে করা তালিকায় নাম থাকা ব্যক্তিদের বা ১৯৭১ সালের ২১ মার্চ আসামে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোটার হিসেবে যাদের নাম ছিল তাদের বংশধরদের নাম যোগ করার উদ্দেশ্যেই নতুন তালিকা গঠন করা হয়েছে।

যেসব ব্যক্তিরা তাদের পূর্বপুরুষ আসামে বাস করেছিলেন, এমন দাবির পক্ষে প্রমাণ সরবরাহ করতে পারবেন তাদেরকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

পাশাপাশি, ১৯৬৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের মধ্যে আসামে প্রবেশকারীদের ব্যক্তিদের মধ্যে যারা ‘ফরেইনারস রেজিস্ট্রেশন রেজিওনাল অফিসারের’ কাছে নিবন্ধিত হয়েছিলেন তাদের ও তাদের বংশধরদের নামও যোগ করা হবে।

আজকের বাজার/একেএ