ভূমিহীন কৃষককেই খাস জমি দিতে হবে: ভূমিমন্ত্রী

কৃষি খাস জমি বন্দোবস্ত ও ডিসিআর ভূমিহীন কৃষকরা পাবেন বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ । এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৪ মে) ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় কৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা নির্বাহী কমিটির সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, খাস জমির ডিসিআর কাটার আগেই ভূমি অফিস থেকে সরেজমিনে জমির বর্তমান অবস্থা জেনে তারপর বন্দোবস্ত বা ডিসিআর দিতে হবে। এক্ষেত্রে যদি ঐ জমি কোনো ভূমিহীন কৃষক চাষাবাদ করে থাকেন তবে ডিসিআর ঐ ভূমিহীনকেই দিতে হবে।

সভায় কৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত নীতিমালা ১৯৯৭ অনুসারে ৯৯ বছর মেয়াদি বন্দোবস্ত গ্রহীতা বা তার বৈধ ওয়ারিশগণ অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণ পাওয়ার বিষয়টি কৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ১৯৯৭ এ সংযোজনের সিদ্ধান্ত হয়। ১৯৯৭ সালের পূর্বে যে সকল বন্দোবস্তকৃত কৃষি খাসজমি নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর হস্তান্তরযোগ্য ছিল সে সকল কৃষি জমির বন্দোবস্তগ্রহীতা অথবা বৈধ হস্তান্তরের ভিত্তিতে সর্বশেষ মালিকগণ যথারীতি ক্ষতিপূরণ পাবেন মর্মে একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে বলে সভায় অবিহিত করা হয়।

সভায় বরিশাল-পটুয়াখালী এবং শেরপুর-জামালপুরের সীমানা বিরোধসহ অন্যান্য জেলার সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তির বিষয়ে পক্ষগণের সাথে দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে আন্তজেলা সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তির কাযক্রম অব্যাহত রয়েছে বলেও জানানো হয়। পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আখম জাহাঙ্গীর হোসাইন প্রস্তাব করেন ভোলার সাথে অন্যান্য জেলার ভূমি বিরোধ আরএস রেকর্ড অনুযায়ী নিষ্পত্তি করতে হবে। প্রস্তাবিত এ বিষয়টি নিয়ে সভার সকলে একমত পোষণ করেন।

সভায় ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এম.পি., ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, পটুয়াখালী-৩ আসনের এমপি আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের এমপি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ভূমি সচিব আ. জলিল, বিভাগীয় কমিশনারসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

রাসেল/