ভয়ভীতি দেখিয়ে সরকার নির্বাচনকে প্রভাবিত করছে: আমির খসরু

সিলেটে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সরকার প্রভাবিত করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

সোমবার (০৯ জুলাই) বিকালে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এমন অভিযোগ করেন।

আমির খসরু বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী ধারাবাহিকভাবে আচরণবিধি লংঘন করলেও প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে। উপরন্তু নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন।

এমন ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করে ভোটারদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ তার।

আমির খসরু বলেন, ‘ভয়ভীতি এমন পর্যায়ে গেছে যে, বলা হচ্ছে তোমরা (বিএনপি নেতাকর্মী) ৩০ জুলাই পর্যন্ত এলাকা ছেড়ে থাকো।

ভয়ভীতি দেখানোর বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনকে সোমবার অবহিত করেছেন আরিফুল হক চৌধুরী, এমনটা জানিয়েছেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তবে ‘কাজ কতোটুকু হবে’ তা নিয়ে ‘সন্দেহ’ পোষণ করেছেন বিএনপির ওই কেন্দ্রীয় নেতা।

সংবাদ সম্মেলনে আরিফকে পাশে নিয়ে আমির খসরু আরো বলেন, সিলেটের মানুষ স্বাধীনতাকামী, গণতন্ত্রমনা। ৩০ জুলাইয়ের ভোটে সিলেটের মানুষ সরকারের নির্বাচনী প্রকল্প ভেঙে দিয়ে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করবে।

তিনি বলেন, ‘মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন থেকে আজ পর্যন্ত যা ঘটেছে, তা রিভিউ করেছি। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বিশাল জনবল নিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন, যা আচরণবিধির লঙ্ঘন। নির্বাচনী প্রচারণার কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু না হলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থনে শ্রমিকলীগ গুলশান সেন্টারে, মহিলা লীগ জেলা পরিষদ মিলনায়তনে, উপশহরে একটি হোটেলে সভা করেছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন কোনো আপত্তি জানায়নি, বাধা দেয়নি।’

সিসিক নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী হয়েছেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আমির খসরু বলেন, ‘তিনি প্রার্থী হয়েছেন, তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দল।’

২০ দলীয় জোটের শরীক জামায়াতের মহানগর শাখার আমির এসহানুল মাহবুব জুবায়ের মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি নেতা আমির খসরু বলেন, সিলেটসহ তিন সিটিতে যে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে, তা জোটে আলাপ-আলোচনা করেই দেয়া হয়েছে। কেউ যদি জোটের সিদ্ধান্তের বাইরে প্রার্থী হন, তবে আমরা আশা করবো তার ব্যাপারে তার দল ব্যবস্থা নেবে।

এসময় আরিফুল হক চৌধুরী ছাড়াও বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন জীবন ও মহানগর সভাপতি নাসিম হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।

আজকের বাজার/এমএইচ