ভয় দেখিয়ে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করেন শিক্ষক

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর চরমনী মোহন করাতির হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক তোফায়েল আহমেদ পাগলের ভয় দেখিয়ে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করেন। ৩০ ছাত্রীকে ভয় দেখিয়ে যৌন হয়রানি করেছেন এমন প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি।

বুধবার (৪ জুলাই) দুপুরে তদন্ত কমিটির প্রধান সদর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শিক্ষক তোফায়েলের বাড়ি সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়নের মাছিমনগর গ্রামে। তিন বছর ধরে তিনি উত্তর চররমনী মোহন করাতির হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি স্থানীয় হাওলাদার বাড়িতে থেকে পার্শ্ববর্তী মসজিদে ইমামতি করতেন। সকালে তিনি আরবি শিক্ষা ও রাতে শিক্ষার্থীদের পড়াতেন। এ সুবাদে পাগলের ভয় দেখিয়ে কৌশলে ছাত্রীদের ধর্ষণ ও যৌন হয়রানি করতেন।

সম্প্রতি জানা গেছে, শিক্ষক তোফায়েল আহমেদের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। ফলে ২৮ জুন ইউএনও’র নির্দেশে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে উপজেলা শিক্ষা বিভাগ।

এতে সদর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলামকে প্রধান, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন ও পার্শ্ববর্তী পশ্চিম চর রমনী মোহন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মাওলাকে সদস্য করা হয়।

সহকারী শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলাম জানান, আমরা সরেজমিন গিয়ে ভুক্তভোগী ৬-৭ জন ছাত্রী, অভিভাবক, শিক্ষক ও এলাকাবাসীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। সেখানে অন্তত ৩০ ছাত্রীর যৌন হয়রানির প্রমাণ পেয়েছি। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। ঘটনা জানাজানির পর থেকে ওই শিক্ষক পলাতক রয়েছেন।

এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ শাজাহান আলী বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি অভিযোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হন।

ইউএনও মোহাম্মদ শাজাহান বলেন, এমন ঘটনা লজ্জাজনক। এর তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে মামলা করার জন্য থানা পুলিশের কাছে পাঠাবো। অভিযুক্ত শিক্ষককে যেখানেই পাওয়া যাবে তাকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য সকলের কাছে আহ্বান করছি।

আজকের বাজার/আরআইএস