ভয় পাই: ফখরুল

আজকে আমরা আদালতের কাছে যেতেও ভয় পাই। এমনটাই জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ভয় পাই এই জন্য যে, আমরা দেখছি বর্তমান সরকার আদালতের ওপর পূর্ণ কর্তৃত্ব নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে। তাই সেখানে যাবো কী যাবো না তা ভেবে দেখতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি করতে চাই। গতকালও দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেছি। তিনি আমাদের বলেছেন, শত উস্কানির মধ্যেও ধৈর্য্য ধরে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যেতে। সেই লক্ষ্যে আমাদের দলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে যাচ্ছি। তারপরও ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা আমাদের সভা ও মিটিং এ প্রবেশ করে নেতাকর্মীদের মতো চুপচাপ বসে থাকে। অনেক সময় স্লোগানও দিতে দেখা যায়। কিন্তু আসলে তারা হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।

মির্জা ফখরুল বলেন, যেই প্রক্রিয়ায় নেতাকর্মীদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে কোনো স্বাধীন দেশে এই ভাবে গ্রেপ্তার হতে দেখিনি। আমরা এটাকে তুলনা করতে পারি হিটলারের গেস্টাপো বাহিনীর সাথে। অথবা অন্যান্য ডিকটেটরা যেভাবে কাজ করেছে গণতান্ত্রিক কর্মীদের উপর আক্রমন অত্যাচার করেছে তাদের সাথে।

তিনি বলেন, আজ আমাদের চোখের সামনে যে ঘটনাগুলো ঘটলো। এতটুকু সৌজন্যবোদ তারা দেখায়নি যে সিনিয়র নেতৃবৃন্দ সেখানে ছিলেন তাদের সামনেই, আমাদের কর্মসূচি তারা শেষ করতে দেয়নি, সেইভাবেই তারা আক্রমন করেছে। আজকে এটা হামলা। আমরা পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ধিক্কার জানাচ্ছি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, দেশনেত্রীকে কারাগারে নেয়ার পর আমরা যতগুলো কর্মসূচি দিয়েছি প্রত্যেকটি কর্মসূচি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি। এতেই বোঝা যায় সরকারের গাত্রদাহ হচ্ছে। যে কারণে আজকে তারা উস্কানি দিয়ে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বাঁনচাল করে দিয়েছে। সেই সঙ্গে অন্যায়ভাবে সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে আমাদের নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে।

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রী জনসভায় যে সমস্ত বক্তব্য রেখেছেন এ বক্তব্য থেকে প্রমাণিত হয় গণতন্ত্র শুধু তাদের জন্য। এই দেশটা তাদের। এখানে অন্য কারো কোনো অবস্থান নেই। আমরা দুঃখের সঙ্গে বলছি অত্যন্ত হতাশার সঙ্গে বলছি এই সরকার যে ব্যবস্থা চালু করলো এই অনৈতিক অবৈধ সরকার এ ব্যবস্থা থেকে আবারো গণতন্ত্রে ফিরে আসা অত্যন্ত দুরহ কাজ হবে।

অভিযোগ করে তিনি বলেন, নিজেরা জনসভা করছেন অথচ আমাদেরকে অনুমতি দিচ্ছে না। আজও বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ডিএমপি কার্যালয়ে জনসভার অনুমতির জন্য গেলে উনারা অবহিত করেন এই বলে যে, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন পেলে জানাবে।

সংবাদ সম্মেলনে কারাবন্দী দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে বাধা এবং পুলিশি হামলার প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি। আগামী ১০ মার্চ শনিবার রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রতিটি থানায় থানায় প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হবে বলেও জানান দলটির মির্জা ফখরুল।

আজকেরবাজার/এসকে