মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের হাতিরঝিল লুপে যান চলাচল শুরু

মগবাজার-মৌচাক সমন্বিত ফ্লাইওভারের হাতিরঝিল-সোনারগাঁও হোটেল (কারওয়ান বাজার) অংশ যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে এই ফ্লাইওভারের ৪৫০ মিটার দীর্ঘ অংশটি উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

এই লুপটি শুধু একমুখী চলাচল করা যাবে। ফ্লাইওভারের মগবাজার প্রান্ত থেকে উঠে হাতিরঝিল বরাবর সোনারগাঁও হোটেলের কাছে এই লুপ দিয়ে নামা যাবে।

প্রকল্পের পরিচালক স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) জ্যেষ্ঠ নির্বাহী প্রকৌশলী সুশান্ত কুমার পাল বলেন, হাতিরঝিল-সোনারগাঁও লুপের নির্মাণকাজ গত মাসে শেষ হয়েছে। উদ্বোধনের পর যানবাহন চলাচলের জন্য পুরোপুরি খুলে দেওয়া হবে ফ্লাইওভারের অংশটি।

এলজিইডির দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ভুল পরিকল্পনায় নির্মাণকাজ শুরু করায় এই প্রকল্পের সোনারগাঁও প্রান্তের লুপটি এবার ভাংতে হয়েছে। মূল পরিকল্পনায় এর দৈর্ঘ্য ছিল ২০০ মিটার; এখন সেটি ৪৫০ মিটার করা হয়েছে।

এর আগে প্রথম দফায় এফডিসির পাশে রেলগেটের পূর্ব প্রান্তের কাজ প্রায় শেষ হয়েছিল। পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থার (এফডিসি) পাশে রেলগেটের ওপর দিয়ে এই ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য আরেকটু বাড়ানো গেলে যানজট এড়ানোসহ ফ্লাইওভার নির্মাণের মূল উদ্দেশ্য সফল হবে। তবে সময়মতো কাজটি না করায় প্রকল্প ব্যয় প্রায় ৫০ কোটি টাকা বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে জনদুর্ভোগও।

২০১৬ সালের ৩০ মার্চ এই ফ্লাইওভারের সাতরাস্তা-হলি ফ্যামিলি অংশ উদ্বোধন করা হয়েছিল। তখন সোনারগাঁও লুপটি চালুর কথা ছিল। ওই সময় লুপটি এফডিসির সামনের সড়ক পর্যন্ত ছিল। পরে প্রায় এক মাস ধরে আগের লুপের কয়েকটি কলামসহ নিচের অংশ ভেঙে এর দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে পুনঃনির্মাণ করা হয়।

২০১১ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৭৭২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘মগবাজার-মৌচাক সমন্বিত ফ্লাইওভার’ নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়। নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি। সোনারগাঁওয়ের অংশ ছাড়াও পরে নানা কাজে নির্মাণ ব্যয় বাড়তে থাকে। সবশেষে ব্যয় বেড়ে ১ হাজার ২১৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা হয়। সাতরাস্তা-হলি ফ্যামিলি অংশের আগের দৈর্ঘ্য ছিল ২ দশমিক ১০৫ কিলোমিটার। খরচ ছিল ২১৩ কোটি টাকা। পরে এর ব্যয় বেড়ে প্রায় ২৬০ কোটি টাকা হয়েছে।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/১৭ মে ২০১৭