মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

মানবিক দিক বিবেচনা করে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘ঘর পোড়ানোর যন্ত্রণা অনুধাবন করতে পারি বলেই, মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। যতটুকু পারি আশ্রিতাদের সহযোগিতা দেব। তবে বিশ্ববাসীকেও আমাদের সঙ্গে থাকতে হবে।’

১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মায়ানমারের প্রতি আহবান জানিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে এ ব্যাপারে জনমত গড়ে তোলার কথাও জানান তিনি।

শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বজন হারানোর বেদনা আমি বুঝি, ঘরবাড়ি হারিয়ে আপনারা যারা, এখানে এসেছেন তারা সাময়িক আশ্রয় পাবেন। তবে আপনারা যেন নিজের দেশে ফিরে যেতে পারেন, সে ব্যাপারে মায়ানমারকে বলব।’

আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের যেন কষ্ট না হয়, তাদের অসহায়ত্বকে পুঁজি করে কেউ যেন ভাগ্য গড়তে না পারে, সেদিকে সতর্ক থাকার আহবানও জানান শেখ হাসিনা। বক্তব্য দেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মায়ানমারে যেভাবে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, তাতে কি তাদের বিবেককে নাড়া দেয় না? একজনের ভুলে এভাবে লাখ লাখ মানুষ ঘরহারা হচ্ছে। আমরা শান্তি চাই।

এর আগে সকাল সোয়া ৯টার দিকে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এক ঘণ্টা বিমানযাত্রা শেষে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। পরে সেখান থেকে সড়কপথে কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে যান তিনি।

সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, পূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, হুইপ ইকবালুর রহিম, কক্সবাজার-৩ আসনে আওয়ামী লীগের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, আবু রেজা মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন নদভী, মন্ত্রী পরিষদ সচিব শফিউল আলম, মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের পর সার্কিট হাউজে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর নামাজ ও মধ্যাহ্ন বিরতি শেষে চারটার আগে প্রধানমন্ত্রীর কক্সবাজার ত্যাগ করার কথা রয়েছে।

আজকের বাজার : এলকে/এলকে ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭