মন্ত্রিসভায় মানসিক স্বাস্থ্য আইন অনুমোদন

কোনো মানসিক রোগীর চিকিৎসায় দায়িত্ব অবহেলা বা আদালতের আদেশ অমান্য করলে ৩ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ‘মানসিক স্বাস্থ্য আইন, ২০১৮’ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (১৬ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ অনুমোদনের কথা জানান।

তিনি বলেন, আইনে কোনো পেশাজীবী ‘মিথ্যা মানসিক অসুস্থতা’র সনদ দিলে তিন লাখ টাকা জরিমানা ও এক বছর করাদণ্ডের বিধান রয়েছে। এছাড়া মানসিক রোগীর সম্পদ বন্টনের ক্ষেত্রে অভিভাবক, আত্মীয়স্বজনরা যদি মিথ্যার আশ্রয় নেয় সেক্ষেত্রে ৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা এক বছরের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।

এছাড়া জাতীয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা ২০১৮ এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয় মন্ত্রিসভা বৈঠকে।

জানা গেছে, ১৯১২ সালে প্রণীত ‘দ্য লুন্সি অ্যাক্ট’কে হালনাগাদ করে নতুনভাবে মানসিক স্বাস্থ্য আইন করা হচ্ছে। প্রস্তাবিত আইনে ২৮টি ধারা রয়েছে। দেশের সব মানসিক হাসপাতাল চলবে প্রস্তাবিত আইনে।

এতে বেসরকারি মানসিক হাসপাতাল খোলার লাইসেন্স দেয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনে এসব হাসপাতাল তল্লাশি করার বিধান রাখা হয়েছে। আইনটি কার্যকরের ৯০ দিনের মধ্যে যে মানসিক হাসপাতালগুলো আছে সেগুলোকে লাইসেন্স নিতে হবে। এই আইন লঙ্ঘন করলে শাস্তি পেতে হবে।

কোনো ব্যক্তি বা কোম্পানি লাইসেন্সবিহীন মানসিক হাসপাতাল চালালে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা তিন বছরের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।

একই অপরাধ আবার করলে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা জরিমানা বা পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেয়া হবে।

আরএম/