মালিঙ্গার কাছ থেকে ইয়র্কার শিখিনি: বুমরা

মুম্বইয়ের জার্সিতে আইপিএল খেলার সময় লাসিথ মালিঙ্গার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছেন বুমরা। তবে ভারতীয় স্পিডস্টার ইয়র্কার শেখেননি মালিঙ্গার কাছে। ডেথ বোলার হিসেবে বিশ্বের সেরা বোলার মালিঙ্গা। বর্ষীয়ান মালিঙ্গার জায়গায় দ্রুত উঠে এসেছেন বুমরা। গোড়ালি লক্ষ্য করে নিঁখুত ইয়র্কার দুই তারকার বোলিংয়েরই অন্যতম বিষয়।

ক্রিকেট মহলের অন্যতম চর্চার বিষয়, মালিঙ্গার সংস্পর্শেই নিজের ইয়র্কার আরও ধারালো করেছেন ভারতীয় তারকা। তবে জনপ্রিয় সেই মিথ ভেঙে দিলেন বুমরা নিজেই। হিন্দুস্থান টাইমস-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই বিষয়ে অপকট সাক্ষাৎকারে ভারতের সেরা বোলার জানিয়ে দিয়েছেন, “অনেকেই বিশ্বাস করে মালিঙ্গা আমাকে ইয়র্কার শিখিয়েছে। তবে এটা মোটেই সত্যি নয়।”

পাশাপাশি বুমরা আরও জানিয়েছেন, “মাঠের মধ্যে মালিঙ্গা আমাকে বিশেষ কিছুই শেখায়নি। যে বিষয় আমি ওঁর কাছ থেকে শিখেছি, তা হল বল করার সময় মনের ব্যবহার, কীভাবে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বল করতে হয়। কীভাবেব মাথা গরম না করে বোলিং করতে হয়। কীভাবে ব্যাটসম্যানের জন্য পরিকল্পনা করতে হয়।”

বুমরা অবশ্য আগে জানিয়েছিলেন, ইয়র্কার বোলিং শৈশবেই শিখেছিলেন। দুপুরে মা ঘুমাতেন। মাকে না জাগিয়ে ঘরের মধ্যে দেওয়াল ও মেঝের যোগসন্ধিক্ষণে বোলিং করতেন। যাতে বল ড্রপ করতে শব্দ না হয়। এভাবেই দিনের পর দিন নিজের খেলা চালিয়ে গিয়েছেন তারকা বোলার। বোলিংয়ের হাতেখড়ি এভাবেই হয়েছিল।

যে বল মায়ের ঘুম ভাঙাত না, সেই ইয়র্কারই আপাতত বিশ্বের ব্যাটসম্যানদের কাছে রাতের আতঙ্ক। বুমরা জানিয়েছেন, টিভি দেখে বোলিংয়ের অনেক বিষয় রপ্ত করেছিলেন। পাশাপাশি ক্ষুরধার বোলিংয়ের জন্য বুমরা কৃতিত্ব দিয়েছেন, ভারতের বোলিং কোচ ভরত অরুণ, ইশান্ত শর্মা, মহম্মদ শামি, ভুবনেশ্বর কুমার, শ্যেন বন্ড, লাসিথ মালিঙ্গা এবং মিচেল জনসনকে।

বুমরা সেই সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “পুরো ক্রিকেটটাই টিভি দেখে শিখেছিলাম। এখনও ভিডিও দেখে ফিডব্যাক নিয়ে থাকি। এভাবেই আমি প্রস্তুতি সারি। নিজেই নিজের বোলিংয়ের বিশ্লেষণ করি। কারণ মাঠের মধ্যে বল করার মুহূর্তে আমি একা থাকি। কেউ সেই সময় আমাকে সাহায্য করে না। তাই নিজেই নিজেকে সাহায্য় করে থাকি।”

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান