মির্জাপুরে গ্রেফতারের পর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ যুবক নিহত

মির্জাপুরে গ্রেফতারের পর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ যুবক নিহত টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গ্রেফতারের পর পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নাজমুল নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে গাজীপুরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গুলিবিদ্ধ নাজমুলের মৃত্যু হয়।

বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সংলগ্ন পুরাতন সড়কের চরপাড়া নামক স্থানে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

নিহত নাজমুল মির্জাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের বাগজান গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি ও মাদকসহ ১২টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, মির্জাপুর থানার দু’টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানার আসামি নাজমুলকে বুধবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

পরে তাকে সঙ্গে নিয়ে অন্যান্য গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিদের গ্রেফতারে রাত পৌনে ৪টার দিকে থানায় ফেরার পথে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সংলগ্ন পুরাতন সড়কের চরপাড়া নামক স্থানে নাজমুলের ৬/৭জন সহযোগী পুলিশের গাড়িতে আক্রমণ করে এবং গুলি ছোড়ে। এ সময় নাজমুল গাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে এএসআই বিশ্বজিৎ সাহা ও কনস্টেবল সরাফত হোসেন রাজু আত্মরক্ষার্থে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

হামলাকারীদের ছোড়া গুলিতে নাজমুল গুলিবিদ্ধ হন এবং এএসআই রফিকুল ইসলাম, বিশ্বজিৎ সাহা, কনস্টেবল সরাফত হোসেন রাজু ও আশুতোষ দাস আহত হন।

বৃহস্পতিবার সকালে নাজমুলকে ঢাকায় নেয়ার পথে অবস্থার অবনতি ঘটলে পথিমধ্যে কালিয়াকৈরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নাজমুলের মা শাহানাজ বেগম বলেন, নাজমুল গত ২৭ জুন জামিনে বের হয়ে সিলেটে তার শ্বশুরবাড়িতে যায়। গত মঙ্গলবার রাতে স্ত্রী সোনিয়াকে নিয়ে বাড়িতে আসে। মঙ্গলবার রাতেই পুলিশ আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির কথা বলে হত্যা করলো।

মির্জাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুল হক বলেন, নিহত নাজমুলের বিরুদ্ধে মির্জাপুর থানায় খুন, অস্ত্র, মাদক, ঘর পুড়িয়ে দেয়া, ডাকাতি, পুলিশের ওপর হামলা, দ্রুত বিচার আইনে মামলাসহ ১২টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে দুইটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।

আজকের বাজার/আরআইএস