মেলায় ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বই পেলে ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, একুশে বইমেলায় সুদৃঢ়, সম্মিলিত ও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। তবে মেলায় ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বই নিষিদ্ধ থাকবে।

তিনি বলেন, আমরা আগেই বলে দিয়েছি, মেলায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানতে পারে বা সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক কোনো বই প্রকাশ করা যাবে না। এরপরেও কোনো লেখক, ব্লগার ও প্রকাশকের এই ধরনের বই যদি স্টলে থাকে তবে তার বিরুদ্ধে বাংলা একাডেমির টিম থাকবে যারা ব্যবস্থা নেবেন।

তিনি আরও বলেন, মেলায় আমরা কোনো সাম্প্রদায়িক বই রাখতে দেবো না। গোয়েন্দারা তাদের নজরদারি সার্বক্ষণিক করবে, এরকম কোনো বই পেলে সঙ্গে সঙ্গে ওই প্রকাশনার স্টল বন্ধ করে দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও মেলায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় থাকবে। মেলায় প্রবেশের জন্য দুটি এবং বের হওয়ার জন্য একটি পৃথক গেট রাখা হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশে প্রবেশ এবং বের হওয়ার জন্য তিনটি প্রবেশ ও তিনটি বের হওয়ার গেট করতে হবে। প্রতিটি গেটে আর্চওয়ে থাকবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে আগতদের দেহ তল্লাশি করে মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে হবে।

তিনি বলেন, মেলায় পকেটমার, ছিনতাইকারী রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সাদা পোশাকের সদস্যরা কাজ করবেন। বিশেষায়িত বাহিনী-সোয়াত এবং বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

লেখক, প্রকাশক ও ব্লগারদের উদ্দেশ্যে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, লেখক, প্রকাশক, ব্লগার যদি মনে করেন ব্যক্তিগত নিরাপত্তা প্রয়োজন তাহলে পুলিশকে জানাবেন। পুলিশ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে।

বইমেলাকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের হুমকি নেই বলে তিনি জানান।

এ সময় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আজকের বাজার/এমএইচ