‘যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা ইরানের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক যুদ্ধ’

ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা হচ্ছে ইরানের বিরুদ্ধে মনোজাগতিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক যুদ্ধ। এই পদক্ষেপের চড়া মাশুল দিচ্ছে ওয়াশিংটন। পরমাণু চুক্তি থেকে প্রত্যাহারে ট্রাম্পের সবচেয়ে খারাপ সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত ছিল ভয়াবহ। এতে যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার পরও সরকার অর্থনৈতিক চাপ সামলাতে পারবে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও মুদ্রার দরপতনের প্রতিবাদে দেশটির পার্লামেন্টের কাছে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভের একদিন পর এই প্রতিশ্রুতি দিলেন রুহানি।

রুহানি জানান, গত কয়েক মাসে সরকারের আয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। ইরানি মুদ্রা রিয়ালের দরপতন হয়েছে বিদেশি সংবাদমাধ্যমের প্রোপাগান্ডার কারণে।

টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত এক টেলিভিশন ভাষণে রুহানি বলেন, সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতেও, আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, ইরানিদের সব মৌলিক চাহিদা পূরণ করা হবে। আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ চিনি, গম ও রান্নার তেল রয়েছে। বাজারে দেওয়ার মতো যথেষ্ট বিদেশি মুদ্রা রয়েছে।

২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তির আওতায় ২০১৬ সালে দেশটির ওপর থেকে আন্তর্জাতিক অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়ে অবরোধ বহালের ঘোষণা দেন। আগামী আগস্টে এই নিষেধাজ্ঞা বহাল ও পারমাণবিক চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কায় ডলারের বিপরীতে পড়তে শুরু করে ইরানের মুদ্রা রিয়ালের দাম। বেসরকারি বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে এক ডলারের দাম পৌঁছেছে ৯০ হাজার রিয়ালে। ২০১৭ সালের শেষ নাগাদ ৪২ হাজার ৮৯০ থেকে ট্রাম্পের ঘোষণার আগে এই দাম ছিল ৬৫ হাজার রিয়াল।

আরজেড/