যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় সদাপ্রস্তুত থাকুন: সেনাবাহিনীকে প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি

দেশের সার্বভৌমত্ব ও সংবিধান রক্ষায় অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত যেকোনো ধরনের হুমকি মোকাবিলা করার জন্য সর্বদা ঐক্যবদ্ধ ও প্রস্তুত থাকতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘পবিত্র সংবিধান এবং মাতৃভূমির সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যেকোন অভ্যন্তরীণ কিংবা বহিরাগত হুমকির মোকাবিলার জন্য আপনাদের ঐক্যবদ্ধভাবে সদা প্রস্তুত থাকতে হবে।’

রবিবার রাজশাহী সেনানিবাসে সেনাবাহিনীর বাংলাদেশ ইনফেন্ট্রি রেজিমেন্টের (বিআইআর) চার ব্যাটেলিয়নকে ‘জাতীয় স্ট্যান্ডার্ড’ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

শ্রেষ্ঠত্ব, কঠোর অনুশীলন ও দায়িত্বনিষ্ঠার স্বীকৃতি হিসেবে ৭ম, ৮ম, ৯ম ও ১০ম বাংলাদেশ ইনফেন্ট্রি রেজিমেন্টকে পদক দেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট ব্যাটালিয়নের কমান্ডারদের কাছে জাতীয় পতাকা হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী।

জনগণের সেবায় সেনাবাহিনী সর্বদা সরকারকে সহযোগিতা করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বর্তমান সরকারের মেয়াদে যখন প্রয়োজন হবে সেনাবাহিনী তখনই জনগণের পাশে এসে দাঁড়াবে।’

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করে গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করার জন্য শেখ হাসিনা সেনাবাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।

চতুর্থবারের মতো ও টানা তৃতীয়বার সরকার গঠনের জন্য তার দলকে সুযোগ প্রদানের জন্য দেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সরকার দেশের শাসক হিসেবে নয়, জনগণের সেবক হিসেবে দেশ পরিচালনা করতে চায়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রধান দায়িত্বপালনের পাশাপাশি সেনাবাহিনী পদ্মা সেতু ও কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের মতো বিভিন্ন নির্মাণ কাজে নিয়োজিত রয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন বিদেশি মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আত্মত্যাগ, আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে তুলেছে।

তিনি বলেন, জাতির জনকের দূরদর্শী নির্দেশিকা অনুসরণ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আধুনিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে।

শেখ হাসিনা বলেন ১৯৯৯ সালে , তিনি বাংলাদেশ ইনফেন্ট্রি রেজিমেন্ট গঠনের নীতি অনুমোদন দিয়েছিলেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে ২০০১ সালের ২১ এপ্রিল বিআইআর এর পতাকা উত্তোলন করেন।

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর গঠিত এটি একমাত্র রেজিমেন্ট। এখন বিআইআর এর অধীনে ৪৩টি ইউনিট এবং দুটি প্যারা-কমান্ডো ব্যাটালিয়ন রয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং এটি অব্যাহত থাকবে।

অনুষ্ঠানে বিআইআর এর চারটি ব্যাটালিয়নের একটি মনোজ্ঞ প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছানোর পর সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ তাকে স্বাগত জানান। তিনি একটি খোলা সুসজ্জিত জিপে প্যারেড পরিদর্শন করেন এবং সেনাবাহিনীর একটি দলের রাষ্ট্রীয় সালাম গ্রহণ করেন। এসময় সেনাপ্রধান ও প্যারেড কমান্ডার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।

সূত্র – ইউএনবি