যেভাবে বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলার বিমানটি

নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (টিআইএ) ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী একটি বিমান সোমবার দুপুরে বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় দেশটির বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক সঞ্জীব গৌতম বলেন, রানওয়েতে অবতরণের সময় বিমানটির পাইলট নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন।

নেপালের স্থানীয় দৈনিক কাঠমাণ্ডু পোস্ট বলছে, ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের আগেই বিমানটিতে আগুনের সূত্রপাত হয়।

সঞ্জীব গৌতম বলেন, ইউএস-বাংলার বিমানটিকে বিমানবন্দরের দক্ষিণপ্রান্ত থেকে রানওয়েতে অবতরণের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বিমানটি বিমানবন্দরের উত্তর অংশ থেকে অবতরণের চেষ্টা করে। এ সময় হঠাৎ বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। পরে বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

বিমানটির পাইলটের ক্যাপ্টেন হাফিজের কাছে গ্রাউন্ড থেকে সঠিক তথ্য পৌঁছাতে দেরি হয়।

সঞ্জীব গৌতম আরও বলেন, অস্বাভাবিক এ অবতরণের পেছনের কারণ এখনও আমরা জানতে পারিনি।

তবে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে ত্রিভুবন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

বিমানের পাইলট ক্যাপ্টেন হাফিজের কাছে গ্রাউন্ড থেকে সঠিক তথ্য পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এনডিটিভি জানিয়েছে এই দুর্ঘটনায় বিমানের থাকা ৭১ যাত্রী ও ক্রুর মধ্যে ৫০ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া এ পর্যন্ত ২০ জন যাত্রীকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

এই ঘটনায় সব ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করেছে টিআইএ। ঘটনাস্থলে রেডক্রিসেন্ট, নেপাল সেনাবাহিনীর পাশাপাশি উদ্ধারকারী অন্যান্য টিমের সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছেন।

আরএম/