রাখাইনে বাস্তুচ্যুতি বন্ধে সত্যিকারের প্রতিশ্রুতি দেখান: মিয়ানমারকে জোলি

রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা ও বাস্তুচ্যুতির চক্র বন্ধে সত্যিকারের প্রতিশ্রুতি দেখাতে এবং সেখানে সব সম্প্রদায়ের জন্য পরিস্থিতি উন্নত করতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) বিশেষ দূত ও হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি।

মঙ্গলবার কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন ও রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।

জোলি বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ীদের তাদের কার্যক্রমের জন্য অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।

তিনি রাখাইন উপদেষ্টা কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন এবং ইউএনএইচসিআর ও অন্যদের সাথে কাজ করার প্রতি জোর দেন। তবে তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা এ মুহূর্তে মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারবে না।

জোলি সোমবারও বিভিন্ন শিবির পরিদর্শন ও রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের গল্প শুনেন।

ইউএনএইচসিআরের বিশেষ দূত হিসেবে রোহিঙ্গাদের মানবিক প্রয়োজনগুলো নিরূপণ করতে এ অভিনেত্রী সোমবার সকালে কক্সবাজার আসেন।

আশ্রয়দানকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যেসব গুরুতর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে তাও তিনি মূল্যায়ন করেছেন বলে ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে।

বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনসহ অন্য সিনিয়র কর্মকর্তাদের সাথে আনুষ্ঠানিক বৈঠক শেষে বাংলাদেশ সফর শেষ করবেন এ বিশেষ দূত।

অ্যাঞ্জেলিনা জোলি এর আগে ২০০৬ সালে ভারত ও ২০১৫ সালের জুলাইয়ে মিয়ানমার সফরকালে বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গাদের সাথে দেখা করেছিলেন।

ইউএনএইচসিআরের সাথে কাজ করা জোলি ২০১২ সালের এপ্রিলে সংস্থার বিশেষ দূত হিসেবে যোগ দেন।

নিজের ভূমিকার মাধ্যমে জোলি বিশ্বের বিভিন্ন সংকট এবং ব্যাপকভাবে মানুষের স্থানচ্যুত বা বাস্তুচ্যুত হওয়ার ব্যাপারে ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধিত্ব করেন। এছাড়া এ হলিউড অভিনেত্রী বৈশ্বিক শরণার্থী বিষয়ক বিভিন্ন আলোচনায় নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে থাকেন।

অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ইউএনএইচসিআরের বিশেষ দূত হওয়ার আগে সংস্থাটিতে ২০০১ সাল থেকে শুভেচ্ছা দূত হিসেবে ছিলেন।

বিরামহীনভাবে কাজ করে যাওয়া জোলি প্রায় ৬০টির মতো মাঠ পর্যায়ের মিশন পরিদর্শন করেছেন এবং বস্তুচ্যুত বা শরণার্থীদের জন্য নিজেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রভাবকের স্তরে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। তথ্য-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ