রাজীবের পর এবার হাত হারালো হৃদয়

রাজধানীতে তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীবের পরে এবার বাস-ট্রাক সংঘর্ষে দেহ থেকে হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল বাস শ্রমিক খালিদ হাসান হৃদয়ের।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বেদগ্রাম নামক স্থানে এ মর্মান্তি ঘটনাটি ঘটে।

হৃদয়কে মুমুর্ষ অবস্থায় ঢাকা পাঠানো হয়েছে। সে টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের চালকের সহকারী (হেল্পার)। সে সদর উপজেলার কাড়ারগাতী গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে।

টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের যাত্রী প্রত্যক্ষদর্শী ঢাকা ইডেন কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী রাহিমা মনি জানান, পিরোজপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের বাসের একেবারে পিছনের ডান পাশের ছিটে বসে ছিলেন হৃদয়। বাসটি বেদগ্রাম পৌঁছালে অপরদিক থেকে আসা একটি ট্রাক পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় বাস ও ট্রাকের পেছনের অংশে সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই হৃদয়ের বাহু থেকে ডান হাতটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে সংকটজনক অবস্থায় তাকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা পাঠান হয়।

ওই শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, ট্রাকটি বেপরোয়া গতিতে বাসটিকে অতিক্রম করার সময় বাসের পেছনের অংশে সজোরে আঘাত করে। ট্রাক চালকের ভুলেই বাস শ্রমিকের হাতটি বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

হৃদয়ের বাবা রবিউল ইসলাম জানান, হৃদয় কাজ করেন টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস নামের একটি বাস কম্পানিতে। গতকাল তাঁর ছুটি ছিল। হৃদয় বাড়তি রোজগারের আশায় টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের একটি বাসে চড়ে গোপালগঞ্জ সদরে আরেকটি বাসে কাজ করার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তাঁকে বহনকারী বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় হৃদয়ের হাত বাসের জানালার বাইরে ছিল। ট্রাকের আঘাতে তাঁর হাতটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ওই ঘটনায় আরো দুই যাত্রী আহত হলেও তাদের অবস্থা তুলনামূলক ভালো হওয়ায় তাদের গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালেই রাখা হয়েছে। রবিউল ইসলাম আরও জানান, তাঁর তিন সন্তান এবং হৃদয় একমাত্র ছেলে।

উল্লেখ্যে, এর আগে রাজধানীর কাওরান বাজারে দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারান সরকারি তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব।

আজকের বাজার/ এমএইচ