রাত জাগার কুফল

ছবি : ইন্টারনেট

অনেকে রাত জাগতে অভ্যাস্ত, কেউ কেউ কম্পিউটার বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস চালানো বা টিভি দেখা রাত জাগেন আবার কেউ কেউ কাজের তাগিদে রাত জাগেন। কিন্তু এতে কিছু কুফল রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

সম্প্র্রতি মানুষের ঘুমানোর অভ্যাসের ওপর করা একটি গবেষণা থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। গবেষণাটি করা হয় সাউথ কোরিয়ার এক হাজার ছয়শ জনের ওপর, যাদের বয়স ছিল ৪৭ থেকে ৫৯-এর মধ্যে।

গবেষণায় দেখা যায়, যারা সকালে তাড়াতাড়ি ওঠেন, তাদের তুলনায় যারা দেরি করে ঘুমাতে যান বা রাত জাগেন, তাদের স্বাস্থ্য সমস্যা বেশি হয়। কোরিয়া ইউনিভার্সিটি কলেজ অব মেডিসিনের গবেষক ড. ন্যান হি কিম বলেন, জীবনযাপনের ধরনের জন্য লোকেরা অনেক ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েন। ধূমপান, রাতে দেরি করে খাওয়া – এসবের মতো রাত জাগাও একটি বদ অভ্যাস। এ কারণেও শরীরে বিভিন্ন রোগ হতে পারে।’

গবেষকরা দেখেছেন, যেসব পুরুষ রাত জাগেন তাদের ডায়াবেটিস ও সারকোপেনিয়া হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। আর যেসব নারী রাত জাগেন, তাদের পেটে মেদ বাড়তে পারে এবং বিপাকীয় সমস্যা হতে পারে। পাশাপাশি ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং স্ট্রোক হওয়ারও আশঙ্কা বাড়ে। গবেষণাটিতে রাত জাগলে স্বাস্থ্য সমস্যা হয় এমন কথা উল্লেখ করলেও এর কারণ এবং প্রভাব সম্বন্ধে কিছু বলেনি।

গবেষণার এক হাজার ছয়শ অংশগ্রহণকারীর মধ্যে ৯৫ জন রাত জাগেন, ৪৮০ জন সকালে ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি ওঠেন। আবার এমনও মানুষও ছিলেন যারা খুব বেশি রাত জাগেন না বা ঘুম থেকে খুব তাড়াতাড়িও ওঠেন না।

গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, যারা বেশি রাত জাগেন, তাদের রক্তে চর্বির মাত্রা বেশি থাকে। এ ছাড়া তারা সারকোপেনিয়ায় আক্রান্ত হতে পারেন। এই সমস্যায় শরীর পেশিশক্তি হারায় এবং কার্যক্ষমতা কমে যায়।

আরএম/