রানা প্লাজা: দুর্ঘটনার পাচঁ বছরেও মামলার অগ্রগতি নেই

রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় করা মামলা গুলোর কোন অগ্রগতি নেই।

উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ থাকায় এখনো দুই মামলায় সাক্ষ্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এমনকি, এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ঠিক করতে গঠন করা সরকাররের উচ্চ পর্যায়ের কমিটির প্রতিবেদনও পড়ে আছে হাইকোর্টের শুনানির অপেক্ষায়।

২০১৩ সালের ২৪শে এপ্রিল সাভারে ঘটে যায় দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ভবন ধ্বসের ঘটনা। ওই ঘটনায় প্রাণ যায় এক হাজার ১৩৬ জনের। আহত হন দেড় হাজারেরও বেশি শ্রমিক।

পরে, অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে ২১ জনকে আসামী করে সাভার থানায় একটি মামলা করা হয়। আর ইমারত বিধিমালা না মেনে ভবন তৈরির অভিযোগে ১৩ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করে রাজউক। দুই মামলাতেই মূল আসামী করা হয় ভবন মালিক সোহেল রানাকে।

দীর্ঘ তদন্তের পর ২০১৫ সালের জুনে হত্যা মামলায় ৪১ জনকে ও ইমারত আইনের মামলায় ১৮ জনকে আসামী করে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। অবহেলাজনিত মৃত্যুর মামলাটির বিচার কাজ শুরু হলেও অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামিরা হাইকোর্টে গেলে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এই সুযোগে রানা বাদে সব আসামীই জামিন পান।

ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি খোন্দকার আবদুল মান্নান কোনো কাজ না পাওয়া সাপেক্ষে আগামী ১৬ তারিখ থেকে সাক্ষী গ্রহণ শুরু করার আশা প্রকাশ করেন।

মামলায় মোট সাক্ষী ৫৯৪ জন। কিন্তু নানা জটিলতায় এখনো সাক্ষ্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। শুনানির জন্য দিন ঠিক করা হলেও নানা যুক্তি দেখিয়ে বারবার দিনক্ষণ পেছানো হয়। আর আসামীপক্ষের আইনজীবীরা এখনো একে একটি দুর্ঘটনা বলেই দাবী করে আসছেন। আসামীপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ আসামীরা খালাস বাপেন বলে আশা প্রকাশ করেন।

এদিকে, আলোর মুখ দেখেনি হতাহতদের ক্ষতিপূরণ ঠিক করতে গঠন করা কমিটির সুপারিশপত্র। সরকারের অনিচ্ছা আর মালিকপক্ষের চাপে তা এখনো উচ্চ আদালতের শুনানির অপেক্ষায় ঝুঁলে আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ’র অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, এ বিষয়ে মালিক পক্ষ মোটেও আন্তরিক নয়, সরকার আন্তরিক নয়।

উল্লেখ্য, হত্যা ও ভবন ধ্বসের মামলা ছাড়াও ভবন মালিক সোহেল রানার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে আরো দুটি মামলা চলছে।

আজকের বাজার/আরজেড