রাবিতে মুক্তিযুদ্ধ : শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতির অর্জন শীর্ষক আর্ন্তজাতিক সেমিনার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা গবেষণা সংসদের আয়োজনে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে  ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধ : শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির অর্জন’ শীর্ষক দুইদিনব্যাপি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনার শুরু হয়েছে।

শুক্রবার সকাল ৯ টায় শহিদুল্লাহ কলা ভবনের সামনে জাতীয় সঙ্গীত ও পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সেমিনারটির শুভ সূচনা হয়। পরে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। সংসদের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবকও অর্পণ করা হয় ।

সেমিনারের প্রথম দিনে বাংলাদেশ জন্মের সূচনালগ্ন থেকে এই পর্যন্ত শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির অর্জন ও সমীক্ষণ বিষয়ে মোট সাতটি অধিবেশনের ৩ টি একাডেমিক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। দেশি বিদেশী ১১ গবেষক মুক্তিযুদ্ধের উপর তাঁদের প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

বেলা সাড়ে ১১ টায় শুরু হওয়া মুক্তিযুদ্ধকালীন শিল্পভাবনা ও শিল্প উপস্থাপন নিয়ে শিল্পিদের অবদান সম্পর্কে ‘বাংলাদেশের চারুশিল্পে মুক্তিযুদ্ধের প্রভাব’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাবি বাংলা বিভাগ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হক। সেখানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট্য কথা সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক।

এসময় মুক্তিযুদ্ধের সাহিত্য ও সমর-সাহিত্য : একটি তুলনামূলক পাঠ, মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙ্গালি কবিমানস, মুক্তিযুদ্ধের আলেখ্য: পরিপ্রেক্ষিত দুই বাংলার কবিতা’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়।

সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ভবনে সেমিনারের উদ্বোধন বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা, কবি ও কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক জুলফিকার মতিন।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা, বাংলা বিভাগ সভাপতি অধ্যাপক পি এম সফিকুল ইসলাম প্রমুখ। এসময় সভাপতিত্ব করেন বাংলা গবেষণা সংসদের সভাপতি খন্দকার ফরহাদ হোসেন।

এদিকে দুপুরের পর বিকাল পর্যন্ত বাংলাদেশের নারীর কলমে মুক্তিযুদ্ধের গল্প: হৃদয়ক্ষরিত তপ্ত রক্তধারা, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য: আমাদের অর্জন, বাংলাদেশের ছোটগল্পে মুক্তিযুদ্ধ: স্বপ্ন ও সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধের নাটক: স্বাধীনতার সংগ্রাম(১৯৭১) থেকে মেহেরজান আরেকবার (১৯৯৮) শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে।

শনিবার চারটি অধিবেশনে দেশি বিদেশী প্রাবন্ধিক তাদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন।

অন্তু/আরএম