রাশিয়ার মাটিতে বিমান হামলার ব্যাপারে কিয়েভ নিরব

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার মাটিতে বিমান হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন কিনা এ বিষয়ে শুক্রবার তিনি কথা বলতে অস্বীকার করেছেন। এ সময় একটি বাস কনভয় অবরুদ্ধ শহর মারিউপোল থেকে হাজার হাজার লোককে পালাতে সহযোগিতার জন্য একটি কঠিন স্থানান্তর কার্যক্রম পরিচালনা করছিল।
ইউক্রেন ও রুশ কর্মকর্তাদের মধ্যে ভিডিওর  মাধ্যমে শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু হয়েছে, তবে ক্রেমলিন সতর্ক করেছে যে বেলগোরোড শহরে একটি জ্বালানি ডিপোতে হেলিকপ্টার হামলা আলোচনায় বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
কিয়েভ হামলার পিছনে ছিল কিনা তা নিয়ে আলোচনা হবে না এ কথা উল্লেখ করে মার্কিন ফক্স নিউজকে জেলেনস্কি বলেছেন, “আমি দু:খিত, আমি কমান্ডার ইন চিফ হিসাবে আমার কোন আদেশ নিয়ে আলোচনা করি না।”
ইউক্রেনের সীমানা জুড়ে যুদ্ধের সম্প্রসারণের সম্ভাবনার সাথে বিপর্যস্ত দক্ষিণের শহর মারিউপোলে দেশের সবচেয়ে কঠিন মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে শান্তি আলোচনা চাপা পড়ে আছে।
তবে শুক্রবার দিনের শেষ দিকে যারা মারিউপোল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলন তারা সেখান থেকে কয়েক ডজন বাসে মারিউপোল থেকে ২০০ কিলোমিটার (১২০ মাইল) দূরে জাপোরিঝিয়ায় পৌঁছেছেন। ঘটনাস্থল থেকে এএফপি’র রিপোর্টার এ কথা জানান।
জাপোরিঝিয়ায় বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয় কেন্দ্রে স্বজনদের জন্য অপেক্ষায় থাকা ওলগা বলেছেন, “আমি শুধু কাঁদছি । আমি এইমাত্র আমার নাতনিকে দেখেছি।
ওলগা বলেন, “তার মায়ের পরিবার এখনো মারিউপোলে আছে, তাঁরা বেচে আছে কিনা আমরা জানি না।”
জেলেনস্কি ঘোষিত হিসাবে বলা হয়, ৩ হাজার ৭১ জনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে, আনুমানিক ১ লাখ ৬০ হাজার লোক শহরটিতে রয়ে গেছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, অন্তত ৫ হাজার বাসিন্দা নিহত হয়েছে এবং আনুমানিক ১ লাখ ৬০ হাজার লোক খাদ্য, পানি এবং বিদ্যুতের সংকটে রয়েছে।