রেল দুর্নীতির মামলায় মৃধাসহ ৩ জনের ৪ বছর কারাদণ্ড

রেলের ফুয়েল চেকার ও নিয়োগ দুর্নীতির দুটি মামলার রায়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের সাবেক মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ইউসুফ আলী মৃধাসহ তিনজনকে চার বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার,২৭ এপ্রিল চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মীর মো. রুহুল আমিন এ রায় দেন। দণ্ডিতরা হলেন ইউসুফ আলী মৃধা, ওয়েলফেয়ার অফিসার (বরখাস্ত) গোলাম কিবরিয়া, অতিরিক্ত প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী (বরখাস্ত) হাফিজুর রহমান। রায়ে দণ্ডিতদের ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন। বিভাগীয় বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ‘ফুয়েল চেকার’ মামলার দণ্ডবিধির ১৬৭/১০৯ ধারায় রেলের তিন কর্মকর্তাকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে অভিযোগে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় বাকি দুজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

সহকারী কেমিস্ট পদে নিয়োগে দুর্নীতির মামলায়ও দণ্ডবিধির ১৬৭/১০৯ ধারায় রেলের তিন কর্মকর্তাকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।একই রায়ে অভিযোগে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় নিয়োগপ্রত্যাশী বাকি তিনজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় ‘ফুয়েল চেকার’ মামলায় দুজন এবং সহকারী কেমিস্ট পদে নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় তিনজনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন-আবুল কাশেম ও আনিসুর রহমান, সুলতানা বেগম, গণেশ চন্দ্র শীল ও জহিরুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, ‘রেলের ফুয়েল চেকার’ নিয়োগ পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন ২০১২ সালর ১০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা ‍দায়ের করে। ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। মামলার এজাহারভুক্ত তিনজনসহ অভিযোগপত্রে মোট পাঁচজনকে আসামি করা হয়।

এ ছাড়া ২০১২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সহকারী কেমিস্ট পদে নিয়োগে দুর্নীতির মামলাটি দায়ের হয়েছিল। ২০১৩ সালের ১৮ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করে দুদক। এতে এজাহারের তিনজনসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। ২০১৪ সালের ১৭ জুন অভিযোগ গঠনের পর আসামিদের বিচার শুরু হয়।দুটি মামলার ১৮ জন করে সাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে ২০১২ সালের ৯ এপ্রিল তৎকালীন রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সহকারী ওমর ফারুক তালুকদারকে বহনকারী গাড়িতে বিপুল পরিমাণ টাকা পাওয়া যায়। এ ঘটনা সারা দেশে তোলপাড় শুরু হয়। তখন ওই গাড়িতে থাকা মৃধাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তিনি বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার সময়, তাকে আদালতে হাজির করা হয়।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/২৭এপ্রিল,২০১৭