রোহিঙ্গাদের গাড়ি-বাড়ি ভাড়া নয়,ক্যাম্পে থাকার নির্দেশ

রাখাইন থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাড়ি ভাড়া দিতে না করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে তাদের পরিবহন করতেও বারণ করা হয়েছে। কক্সবাজার থেকে রোহিঙ্গাদের ছড়িয়ে পড়ার খবর আসার প্রেক্ষাপটে ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়।

ওই নির্দেশনায় বলা হয়, ‘সরকার রোহিঙ্গাদের জন্য নির্দিষ্ট স্থানে বাসস্থান-খাওয়া এবং চিকিৎসাসহ প্রয়োজনী সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তারা নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত নির্দিষ্ট ক্যাম্পেই অবস্থান করবেন।”

রোহিঙ্গাদের অবস্থান কক্সবাজারে নির্দিষ্ট শরণার্থী শিবিরে সীমাবদ্ধ রাখা হবে বলে জানায় পুলিশ।

“তারা ক্যাম্পের বাইরে তাদের আত্মীয়-স্বজন অথবা পরিচিত ব্যক্তিদের বাড়িতে অবস্থান-আশ্রয় গ্রহণ বা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমনাগমন করতে পারবেন না। তাদেরকে নির্দিষ্ট ক্যাম্পের বাইরে কেউ যেন বাসা-বাড়ি ভাড়া না দেয়।”

সড়ক, রেল ও নৌ পথ ব্যবহার করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে রোহিঙ্গাদের না নিতে পরিবহন চালক-শ্রমিকদের বলা হয়েছে।

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কেউ অন্য কোথায় আশ্রয় নিয়েছে কিংবা চলাচল করছে, এমন খবর পেলে স্থানীয় প্রশাসনকে জানাতে বলেছে পুলিশ।

সম্প্রতি মায়ানমারের রাখাইনে সহিংসতার জেরে প্রাণে বাঁচতে বাংলাদেশে শুর হয় রোহিঙ্গা স্রোত। জাতিসংঘের তথ্য মতে, গত ২৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে এ পর্যন্ত রোহিঙ্গা এসেছে ৪ লাখের বেশি।

এই রোহিঙ্গাদের অনেকেই এখন কক্সবাজার থেকে বাংলাদেশে মূল ভূ-খণ্ডে ঢোকার চেষ্টা করছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সদরদপ্তর থেকে এ ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হল।

আজকের বাজার : এলকে/এলকে ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭