রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে তৎপর হবেন কূটনীতিকরা

নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে পাঠাতে তৎপর হবেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা। এজন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে নিজ নিজ দেশের সঙ্গে আলাপ করার কথা জানিয়েছেন তারা।

১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনের সময় কূটনীতিকরা এ কথা বলেন।

গত ২৪ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে কয়েকটি পুলিশ পোস্ট ও একটি সেনা ঘাঁটিতে হামলার পর রোহিঙ্গা দমনে সেনা ও পুলিশের অভিযান শুরু হয়। রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ও রাখাইন সন্ত্রাসীরা। অভিযানের পর নিজেদের বাঁচাতে বাংলাদেশ সীমান্তে নতুন করে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে। ইতোমধ্যে তিন লাখ ৭০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে বলে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা ধারণা করছেন। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে অনেকের আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই হলেও তারা মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন।

এদিকে গতকাল ১২ সেপ্টেম্বর উখিয়ার কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শরণার্থীদের পাশে থাকার কথা জানান। তিনি রোহিঙ্গাদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়ার ও যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা তাদের দেশে ফিরছে ততদিন পর্যন্ত তাদের পাশে থাকার কথাও জানান।

কুতুপালং আশ্রয় কেন্দ্র পদির্শন করতে গিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত কূটনীতিকরা রোহিঙ্গাদের বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থানের প্রশংসা করেছেন। পরিদর্শনের সময় রোহিঙ্গাদের দুঃখ দুর্দশার কথা শুনে, তাদের অনেকে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

এর আগে ঢাকা থেকে বিশেষ বিমানে করে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান রাষ্ট্রদূত বা প্রতিনিধিরা। পরে তারা উখিয়ায় যান। এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। সঙ্গে রয়েছেন প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও সচিব শহীদুল হক।

আজকের বাজার : এলকে/এলকে ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭