বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আবারও আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে উভয় দেশ রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। ৪ জুলাই মঙ্গলবার মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থং তুন শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন,বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন ,প্রতিবেশি দুট দেশের মধ্যে সমস্যা সমাধান হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে আমরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হবো আশাকরি।’ তিনি আরও বলেন, প্রায় ৩০ হাজার নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে বসবাস করছেন। তবে প্রকৃত সংখ্যা প্রায় ৪ লাখ। বর্ষা মৌসুমে তাঁরা চরম দুর্ভোগের শিকার হবেন। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ সব সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে মাদক, বিশেষত ইয়াবা বড়ি পাচার সম্পর্কে সে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। জবাবে তিনি মাদক পাচার চোরাচালান রোধে সব ধরনের সহযোগিতার প্রদান করার আশ্বাস দেন।
প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তার সরকারের টলারেন্স নীতির কথা ব্যক্ত করে বলেন,বাংলাদেশ কখনো কোন সশস্ত্র গ্রুপ বা বিদ্রোহীদের প্রতিবেশি দেশের বিরুদ্ধে এ দেশের মাটি ব্যবহার করতে দেবে না।
সন্ত্রাস সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ডের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,”পল্লী এলাকার উন্নয়নই হচ্ছে মূল লক্ষ্য। দেশের মাটি ব্যবহার করতে দেবে না। তিনি দেশের বিভিন্ন এলাকায় সাইক্লোন সেন্টার নির্মান সহ বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসুচি সংক্ষিপ্তকারে তুলে ধরেন।মিয়ানমারের নিরাপত্তা উপদেষ্টা তার দেশে এ ধরণের সাইক্লোন সেন্টার নির্মানের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
মিয়ানমারের উপদেষ্টা থং তুন বলেন,তাঁর দেশ প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। দুই দেশের সামরিক বাহিনীর যোগাযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নিরাপত্তা ইস্যুতে উভয় দেশ তথ্য বিনিময় করছে। তিনি দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
থং তুন মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে গ্যাস বিক্রি বিষয়ে বলেন,উভয় দেশ এ ব্যাপারে আলোচনা করতে পারে। সাম্প্রতিক বছর গুলোতে বাংলাদেশে চমৎকার উন্নয়নের প্রংসশা করেন মিয়ানমারের নিরাপত্তা উপদেষ্টা।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড.কামাল আব্দুল নাসের চেীধুরী ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন,পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সরকার যে নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, তাতে আইএইএর মহাপরিচালক সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
আজকের বাজার: এলকে/এলকে ৫ জুলাই ২০১৭
