রোহিঙ্গা গণহত্যা বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন মিয়ানমারে প্রত্যাখান

‘রাখাইনে রোহিঙ্গা গণহত্যায় দেশটির সেনবাহিনী জড়িত’ থাকার ব্যাপারে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রকাশিত প্রতিবেদনকে প্রত্যাখান করেছে মিয়ানমার।

মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জ হাতোই বলেন, মানবাধিকার পরিষদ কর্তৃক আনা কোনো রেজুলেশনের সাথে আমরা নেই এবং তা গ্রহণ করি না বা এর সাথে একমত নই।খবর বিবিসি’র।

এর আগে জাতিসংঘের স্বতন্ত্র ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কর্তৃক প্রকাশিত প্রতবেদন প্রসঙ্গে চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়, মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ ‘সহায়ক নয়’।

গত বছরের আগস্টে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী কর্তৃক অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হয়ে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা প্রতিবেশি বাংলাদেশ আশ্রয় নেয়ার প্রেক্ষিতে চলতি সপ্তাহে দেশটির ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ ধেকে ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করা হয়।

গত সোমবার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, গণহত্যার উদ্দেশ্যে নিয়ে পূর্ব-নির্ধারিত এবং সুপরিকল্পিত পদ্ধতি অনুসরণ করেই অপরাধীরা এই হীন অপরাধ সংঘটিত করেছে।

দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল নিউজ লাইট অব মিয়ানমারকে হাতোই বলেন, ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনকে আমরা মিয়ানমারে ঢুকতে দিইনি। তাই হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের কোনো রেজুলেশনের সঙ্গে আমরা একমত নই, তা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্যও নয়।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে মিয়ানমারের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, তার দেশ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে বিশ্বাসী। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা যেসব ‘ভুয়া’ অভিযোগ এ পর্যন্ত করেছে, সেগুলো তদন্তের জন্যও মিয়ানমার একটি কমিশন গঠন করেছে।

মিয়ানমারের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে সম্পর্কযুক্ত চীন বলছে, রাখাইনের ঐতিহাসিক, ধর্মীয় এবং জাতিগত বিষয়টি অনেক জটিল।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চিনিং বলেন, একতরফা সমালোচনা বা প্রবল চাপ প্রকৃতপক্ষে সমস্যার সমাধান করার ক্ষেত্রে সহায়ক নয়।

আজকের বাজার/এমএইচ