রোহিঙ্গা সংকট: মিয়ানমারের ওপর চাপ বৃদ্ধিতে নৈতিক কূটনীতির ওপর গুরুত্বারোপ

বিশেষজ্ঞারা বলছেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে নৈতিক কূটনীতির মাধ্যমে মিয়ানমারের ওপর চাপ বৃদ্ধিতে বিশ্ব সমাজের প্রত্যেকের কাছে পৌঁছানোর উপায় অনুসন্ধান করতে পারে বাংলাদেশ।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির যোগাযোগ অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মাদ এ আওয়াল বলেন, মিয়ানমার ও তাদের সমর্থকদের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে রাষ্ট্রসমূহ ও বিশ্বের সকল নাগরিককে কাজ করতে হবে।

সম্প্রতি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করা বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের (বিইআই) সিনিয়র গবেষক অধ্যাপক আওয়াল রোহিঙ্গাদের দুঃখ-দর্দশা বন্ধে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার এবং এই সমস্যা সমাধানে আগ্রহী গ্রুপের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বিইআই- এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম হুমায়ুন কবির বলেন, মিয়ানমারের সমাজে পৌঁছে জনগণকে প্রভাবিত করার জন্য বাংলাদেশ আরও বেশি কিছু করতে পারে, তবে লক্ষনীয় ব্যাপার হলো- দেশটির রাজনৈতিক কাঠামো খুবই কঠিন।

‘কিন্তু আমাদের করতে হবে (সমাধান) এবং গুরুত্ব দিয়ে করতে হবে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শুধু মিয়ানমার নয়; ভারত, চীন, রাশিয়া, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পৌঁছার জন্য বাংলাদেশ চেষ্টা করতে পারে।’

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত বলেন, এই ইস্যুটি (রোহিঙ্গা) এমন একটি ই্স্যু যার অনেকগুলো ডায়মেনশন রয়েছে- মানবিকতা, অধিকার, ন্যায়- আর বাংলাদেশের দিক থেকে ভৌগলিক ব্যাপরটি তো রয়েছেই।

‘আমাদের কূটনীতির জন্য এটি একটি পরীক্ষা এবং আমাদের এই সমস্যার সমাধান করতে হবে’ জানিয়ে কবির বলেন, আমাদেরকে এটাও ভাবতে হবে, সম্যাটির সমাধান না হলে কি হতে পারে।

তবে সবচিকছু বিবেচনার ভিত্তিতে অধ্যাপক আওয়াল বলেন, একমাত্র আন্তর্জাতিক চাপ-ই হবে মিয়ানমার ও তার সমর্থকদের ওপর কার্যকর পদক্ষেপ।

বড় শক্তিগুলো রাজনৈতিক অর্থনৈতিক বিভিন্ন কারণে মিয়ানমারের সাথে রয়েছে উল্লেখ করে ভূ-রাজনৈতিক দিকগুলো বিশ্লেষণ করে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জন্য সবচয়ে ভালো হবে দ্বি-পাক্ষিকভাবে সমস্যাটির সমাধানে আসা। তথ্য-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ