লঞ্চের স্পেশাল সার্ভিস শুরু ১৩ জুন

পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ঘরমুখো যাত্রীদের স্বস্তি দিতে আগামী ১৩ জুন প্রতিবছরের মতো এবারও লঞ্চের স্পেশাল সার্ভিস চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিআইডব্লিউটিএ এবং লঞ্চ মালিক সমিতি।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল ও যাত্রী পরিবহণ সংস্থা (যাপ) এর সদস্য সচিব সিদ্দিকুল ইসলাম পাটোয়ারী এ বিষয়ে বলেন, সিডিউল ঠিক না হওয়ায় কেবিনের আগ্রিম টিকিট দেওয়া নিয়ে জটিলতা হচ্ছে। বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু করেছে। সাধারণ কেবিন বিক্রি শুরু হলেও ভিআইপি কেবিনের এখনও বুকিং শুরু হয়নি। লঞ্চের ডেকের যাত্রীদের জন্য সদরঘাটে স্থাপিত টিকিট কাউন্টারে টিকিট থাকবে। ঈদের সাত দিন আগে থেকে অর্থাৎ ৯ জুন থেকে এ সব কাউন্টার খোলা হবে। অতিরিক্ত যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে ১৩ জুন থেকে স্পেশাল লঞ্চ সার্ভিস চালু করা হবে।

অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটএ) চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক এ বিষয়ে বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ সামাল দিতে এ বছরই প্রথম নতুন টারমিনাল ভবনের লঞ্চের কাউন্টারগুলোতে ডেকের যাত্রীদের টিকিট বিক্রি শুরু করা হবে। এ ছাড়া যাতে করে পন্টুনে অতিরিক্ত যাত্রী যেতে না পারে এজন্য টারমিনালগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা এবং বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া ও ওভারলোড না কারার বিষয়েও লঞ্চ মালিকরা আমাদের আস্বস্ত করেছেন।

সদরঘাটের (বন্দর ও পরিবহন) বিভাগের উপপরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নিরাপদ করতে প্রয়োজনীয় সব কিছুই করা হবে। যাত্রীরা যাতে ভালোভাবে টার্মিনালে আসতে পারে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, তথ্য সার্ভিস, হকার মুক্ত, যানযট মুক্তসহ সেবার মান উন্নয়নে সব ধরনের ইউটিলিটি সার্ভিস সুবিধা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে যাত্রীদের নির্বিঘ্নে বাড়ি ফেরার এবং ঢাকায় আসার ব্যবস্থা করা হবে।

সাধারণত নিয়মিত ও স্পেশাল লঞ্চ সার্ভিসের ভাড়ার মধ্যে তেমন পার্থক্য থাকে না। লঞ্চে ভাড়ার বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা যায়, আসন ব্যবস্থাপনা অনুসারে ছোট-বড় লঞ্চসমূহে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। বড় আকারের লঞ্চগুলোতে ডুপ্লেক্স ও ভিআইপি কেবিনের ভাড়া ৩০০০ টাকা থেকে ৬০০০ টাকা হয়ে থাকে। যেখানে দুটো বেড, এসি, রেফ্রিজারেটর, টিভি, ডাইনিং সুবিধা রয়েছে।

দুই বেড সুবিধায় ডাবল কেবিনের ভাড়া ১৮০০ থেকে ২৫০০ টাকা, এক বেডের সুবিধায় সিঙ্গেল কেবিন ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা, সোফা-কাম-বেডের ক্ষেত্রে ৫০০ থেকে থেকে ৭০০ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়ে থাকে। এখানেও এসি কিংবা ফ্যান ও টিভির সুবিধা রয়েছে।

এ ছাড়া লঞ্চের ডেকেও (লঞ্চের খোলা স্থান) যাত্রা করা যায়। অনেক বড় লঞ্চে কার্পেট দেওয়া রয়েছে। তবে চাদর বালিশ যাত্রীকে সঙ্গে বহন করতে হয়। এখানে ভাড়া ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।

আজকের বাজার/ এমএইচ