লাল সোনা উৎপাদনে আফগানিস্তানের রেকর্ড!

বণিক মহলে সুপরিচিত নাম লাল সোনা। প্রকৃতির এই অনবদ্য উপহার মূলত ব্যবহার হয় মোগলাই খানার খোশবাই রঙ তৈরিতে। এছাড়াও হরেক গুণের জন্য পরিচিতি জাফরানের।

চলতি বছর আফগানিস্তানে রেকর্ড ফলন হয়েছে জাফরানের। বিভিন্ন আফগান সংবাদপত্র ও আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার খবর, ২০১৯ সালে আফগানিস্তানে জাফরানের উৎপাদন গত বছরের তুলনায় ২২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

আফগান কৃষি মন্ত্রক জানিয়েছে, খুব দামি ও সুপরিচিত মূল্যবান এই কৃষি পণ্যের উৎপাদন প্রায় ২০ মেট্রিক টন।

গত বছর ১৬ টন জাফরান উৎপাদন করেছিল আফগানিস্তান। এই বছর আরও ৬ শতাংশ উৎপাদন বেড়েছে। উৎপাদিত জাফরানের ৯০ শতাংশ রফতানি করা হবে।

জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত আফগানিস্তানের অর্থনীতি খুবই খারাপ। দেশটির কৃষি মন্ত্রনালয় জানিয়েছে, ২০১৯ সালের বছরের ফলন থেকে জাফরান চাষীরা প্রায় ২৭ মিলিয়ন ডলার রাজস্ব আয় করবেন। এটি এক রেকর্ড।

আফগান সংবাদ মাধ্যমের খবর, নিজস্ব বাজারে এক কেজি জাফরানের দাম মানের উপর এটা নির্ভর করে। সেই দাম ৬৩৪ মার্কিন ডলার থেকে ১,১৪৭ মার্কিন ডলার পর্যন্ত গিয়ে ঠেকে।

তবে উচ্চ মানের জাফরান চালান হয় বিভিন্ন দেশে। বিশেষ করে যে সব দেশে মোগলাই রীতির খাবারের চল বেশি।

আফগানিস্তানের আফিম উৎপাদনেও নজর থাকে দুনিয়ার। হরেকরকম শুকনো ফলের রফতানি করাও এই দেশের অন্যতম আয়। তবে লাল সোনা জাফরানের কথাই আলাদা।

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান