লিওনেল মেসির সামনে বড় চারটি টুর্নামেন্ট

আর্জেন্টিনার জার্সিতে কিছুই জেতেননি। বিশ্বকাপটা আর জেতা হলো না লিওনেল মেসির।

কিন্তু কথাটি পুরো সত্যি না। মেসি যুব বিশ্বকাপ জিতেছেন সঙ্গে একটি অলিম্পিকও জিতেছেন। কিন্তু সেগুলো তে আর চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রতিযোগিতা না। বিশ্বকাপ এবং কোপা আমেরিকা মিলিয়ে টানা তিনটি ফাইনালে উঠেও শিরোপার স্বাদ পাননি।

বিশ্বকাপের আগে মেসি বলেছিলেন, শিরোপা না জিতলেও জাতীয় দলের হয়ে খেলা চালিয়ে যাবেন। মাশচেরনো, বিগলিয়ারা অবসরের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেও সে পথে এখনও হাটেননি মেসি।

অনেক আর্জেন্টাইনেরই চান, বিদায় না নিয়ে নতুন আর্জেন্টিনার নেতৃত্ব দিক মেসি। আরও একটি বিশ্বকাপ শেষ হলো হতাশায়। একবার তো অবসরের ঘোষণা দিয়েও ফিরে এসেছেন। এখন রাশিয়া বিশ্বকাপের হতাশায় জাতীয় দলের জার্সি পাকাপাকিভাবেই খুলে রাখার সিদ্ধান্ত নেবেন কিনা বলা মুশকিল।

কিন্তু কীসের আশায় থাকবেন? ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপের সময় তার বয়স হবে ৩৫। ততদিনে বিশ্বকাপের মতো প্রতিযোগিতায় খেলার জন্য শরীর সায় দেবে কিনা সেটাও একটা প্রশ্ন।

তবে জাতীয় দলের সঙ্গে থেকে যাওয়ার ওসিলাও আছে মেসির। আগামী দুই বছরে দুটি বড় টুর্নামেন্ট পাবেন। ২০১৯ সালে ব্রাজিলে বসছে কোপা আমেরিকার আসর। পরের বছর ইকুয়েডরে আবারও বসবে এ আসর। অনেকটা ২০১৫ ও ২০১৬ সালের মতো। সেবারও পরপর দুই বছর কোপা আমেরিকার আসর বসেছিলো।

এখন থেকে কোপা আমেরিকা আর ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ হবে একই বছরে। দক্ষিণ আমেরিকা আর ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের দুই আসর একই সময়ে আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়ার পেছনে আছে ক্লাবগুলোর সূচি। দক্ষিণ আমেরিকার অনেক ফুটবলার ইউরোপের ক্লাবগুলোতেই খেলেন। ফলে পরপর দুই বছর জাতীয় দলের জন্য খেলোয়াড় ছেড়ে দেওয়ার এই ‘ঝামেলা’ ক্লাবগুলো এক বছরেই কাটিয়ে উঠতে চায়। ফলে ২০২০ সালে ইউরোর পাশাপাশি হবে কোপা আমেরিকাও। তখন থেকে প্রতি চার বছরে তা-ই হবে।

সাধারণত বিশ্বকাপের পরেই বসে কোপা আমেরিকার আসর। গতবারও তেমনটাই হয়েছিলো। কিন্তু শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে ২০১৬ সালে বিশেষ আসর বসে। দু’বারই ফাইনালে উঠেও চিলির কাছে হারতে হয়েছে পেনাল্টি শুট আউটে। ২০০৭ কোপা আমেরিকাসহ সব মিলিয়ে চারটি ফাইনালে ওঠার পরও যে পারেননি কিছু জেতা হয়নি মেসির।

২০১৯ সালের কোপা আমেরিকা জিততে পারলে মেসির সামনে আরও একটি বড় টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ থাকবে। ২০২১ সালে কাতারে হবে কনফেডারেশনস কাপ। বিশ্বকাপের আগের বছরে স্বাগতিক দেশে একটি মহড়া টুর্নামেন্ট হয়। যাতে ফিফার ছয় মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়ন, বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন আর স্বাগতিক দেশ খেলে। ল্যাটিন আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে কনফেডারেশন খেলার সুযোগ পাবে আর্জেন্টিনা।

পরের বছরই হবে বিশ্বকাপ। ৩৫-এ আরেকবার ভাগ্যের পরীক্ষা দিতে চাইলে নেমে পড়তে পারেন সে আসরেও।

তাই আগামী কয়েক বছরে জাতীয় দলকে অনেক কিছুই দেয়ার আছে মেসির। আর সুযোগ আছে নিজের শোকেসে বড় কোন ট্রফি তোলার।

আজকের বাজার/আরআইএস