লেজার নিয়ে গবেষণায় পদার্থে নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী

লেজার নিয়ে গবেষণায় যুগান্তকারী অবদানের জন্য চলতি বছর পদার্থবিদ্যায় যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী।

তারা হলেন- মার্কিন পদার্থ বিজ্ঞানী আর্থার আস্কিন, ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী জিরার্ড ম্যুরো ও কানাডার পদার্থ বিজ্ঞানী ডন্না স্ট্রিকল্যান্ড।

মঙ্গলবার রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স তাদের নাম ঘোষণা করেছে।

টুইটারে নোবেল কমিটির দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অত্যন্ত সরু লেজার রশ্মি নির্ভুলভাবে বিভিন্ন পদার্থ এমনকি জীবন্ত প্রাণীর দেহ কাটতে অথবা ছিদ্র করতে পারে। প্রতিবছর লাখ লাখ চোখের অপারেশন হয় সরু লেজার রশ্মি দিয়ে।

এতে আরো বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক আর্থার অ্যাশকিন আবিস্কার করেছেন অপটিক্যাল চিমটা যার মাধ্যমে কণা, পরমাণু, ভাইরাস ও অন্যান্য জীবিত কোষ লেজার রশ্মি দিয়ে ধরা যায়। নতুন এই যন্ত্রটির মাধ্যমে অ্যাশকিন সায়েন্স ফিকশনের একটি পুরোনো স্বপ্ন বাস্তবে নিয়ে আসেন- আলোর বিকিরণ চাপ ব্যবহার করে বস্তুকে অপসারণ।

তিনি লেজার রশ্মি ব্যবহার করে কণাকে আলোকরশ্মির কেন্দ্রে নিয়ে আসতে এবং তাদের সেখানে ধরে রাখতে সক্ষম হন। ফরাসি নাগরিক জেরার্ড মৌরো এবং কানাডার ডোনা স্ট্রিকল্যান্ড মানব জাতির ইতিহাসে সবেচেয়ে ক্ষুদ্র ও সবচেয়ে তীব্র লেজার অনুরণন সৃষ্টির পথ প্রশস্ত করেন। তাদের লেখা যুগান্তকারী নিবন্ধটি প্রকাশ হয়েছিল ১৯৮৫ সালে।

সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। পুরস্কারের ৮০ লাখ সুইডিশ ক্রোনারের অর্ধেক পাবেন আর্থার অ্যাশকিন। আর বাকী অর্ধেক দু ভাগ করে নেবেন জেরার্ড মৌরো ও ডোনা স্ট্রিকল্যান্ড।

আগামী বুধবার রসায়ন, শুক্রবার শান্তি এবং আগামী ৮ অক্টোবর অর্থনীতিতে এবারের নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। তবে এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছে সুইডিশ একাডেমি।

প্রসঙ্গত, ১৯০৫ সালে নোবেল পুরস্কার প্রদান শুরু হয়। তারও আগে ১৮৯৫ সালের নভেম্বর মাসে আলফ্রেড নোবেল তার মোট উপার্জনের ৯৪% (৩ কোটি সুইডিশ ক্রোনার) দিয়ে তার উইলের মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করেন।

সেই বিপুল অর্থ দিয়েই শুরু হয় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান। পরে ১৯৬৮তে তালিকায় যুক্ত হয় অর্থনীতি।

আজকের বাজার/এমএইচ