লেনদেন বাড়লেও সূচক কমেছে পুঁজিবাজারে

গত সপ্তাহে দেশের পুঁজিবাজারে ছিল মিশ্র অবস্থা। সপ্তাহ শুরুর প্রথম দিকে বাজার বড় ঝাঁকুনি খেলেও পরে তা বেশ ভালোভাবেই সামলে উঠে। এ সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আগের সপ্তাহের চেয়ে বেশি টাকা মূল্যের শেয়ার কেনা বেচা হয়েছে। তবে লেনদেন বাড়লেও মূল্যসূচক কিছুটা কমেছে। লেনদেনের সাপ্তাহিক তথ্য-পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে এই চিত্র পাওয়া গেছে।

আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে ২ হাজার ৪১১ কোটি টাকার মূল্যের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে। আগের সপ্তাহে মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭ কোটি টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে দৈনিক গড় লেনদেন বেড়ে ৪০৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা থেকে বেড়ে ৪৮২ কোটি ৩৩ লাখ টাকায় উন্নীত হয়। আগের সপ্তাহের চেয়ে লেনদেন বাড়ে ১৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

সপ্তাহ শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স এর অবস্থান দাঁড়ায় ৫ হাজার ২৫৮ পয়েন্ট। সপ্তাহের শুরুতে সূচকটির অবস্থান ছিল ৫ হাজার ২৮২ পয়েন্টে। সপ্তাহের ব্যবধানে সূচক কমেছে ২৩ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৫ শতাংশ।

ডিএসইর সেরা ৩০ কোম্পানির সূচক ডিএসই-৩০ এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১ হাজার ৮৭৬ পয়েন্ট থেকে ১ হাজার ৮৬৫ পয়েন্টে নেমে আসে।

আলোচিত সপ্তাহে লেনদেনে সবার শীর্ষে ছিল খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। এ সপ্তাহে কোম্পানিটির ১৫৪ কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। লেনদেনে শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, মুন্নু সিরামিক, নুরানী ডাইয়িং, ইনটেক লিমিটেড, সামিট পাওয়ার, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, বিবিএস ক্যাবল, ভিএসএফ থ্রেড ও ইউনাইটেড পাওয়ার।

আলোচিত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দাম বাড়েছে এ ক্যাটাগরির কোম্পানি সায়হাম টেক্সটাইল লিমিটেডের, মূল্য বৃদ্ধির হার ৪২.০৩ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দাম বেড়েছে জেড ক্যাটাগরিতে থাকা ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক লিমিটেডের, বৃদ্ধির হার ৩৬ দশমিক ৮২ শতাংশ।

শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধিতে এ ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলোর মধ্যে শীর্ষ পাঁচে ছিল ইনটেক অনলাইন (৩২.১৪%), কুইন সাউথ টেক্সটাইল (২৯.২৮%), ইন্ট্রাকো (২৭.৬৫%) ও এসকে ট্রিমস (২৬.৬৪%)

আলোচিত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে জিবিবি পাওয়ার। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারের মূল্য কমেছে ৩০.০৮ শতাংশ। এর পরে ছিল খুলনা প্রিন্টিং (১৫.০৪%), বিডি অটো কারস (১৩.৮৯%), এক্সিম ব্যাংক (১১.৮২%) ও সোনারগাঁও টেক্সটাইল (১১.৬২%)