শাহবাগে আন্দোলনরতদের ওপর টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ

কোটা সংস্কারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের ওপর টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। রোববার রাত পৌনে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।শাহবাগের চারদিকের সড়কগুলোতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পুরো শহরজুড়ে যানজট দেখা দেয়।

এ ঘটনায় আন্দোলনকারীরা প্রথমে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়,পরে আন্দোলনকারীরা কবি নজরুল ইসলামের সমাধির সামনে অবস্থান নিয়েছেন।
পুলিশ কয়েকজন আন্দোলনকারীকে আটক করেছে। তবে কত জনকে আটক করা হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি।
সরেজমিন ঘটনাস্থলে দেখা গেছে, টিয়ারশেল নিক্ষেপের পর পরই পুলিশ আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দেয় ও লাঠিচার্জ করে। এ ঘটনায় মুহূর্তেই আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। তখন ছুটে পালানো অবস্থায় ১০ জন আন্দোলনকারীকে আটক করে পুলিশ।

এসময় আন্দোলনকারীরা টিএসসির দিকে পিছু হটে। তখন পুলিশ তাদের ওপর জলকামান নিক্ষেপ করতে থাকে। এসময় চাকরিপ্রার্থীরাও ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদেও অবস্থান নিয়েছে অনেক শিক্ষার্থী। মসজিদে নামাজ চললেও রাস্তা থেকে সেখানেও টিয়ারশেল ছুড়েছে পুলিশ। এছাড়া আন্দোলনকারীদের ওপর রাবার বুলেটও নিক্ষেপ করা হয়েছে।
দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও চাকরিপ্রার্থীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।

বর্তমানে আন্দোলনকারীরা কবি নজরুল ইসলামের সমাধির সামনে অবস্থান নিয়েছেন। পুলিশ সদস্যরাও চারুকলার সামনে রয়েছেন। এছাড়া রাস্তায় পুলিশের জলকামানও রাখা রয়েছে। এসব ঘটনায় শতাধিক শিক্ষার্থীসহ তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এছাড়া এটিএন বাংলার ক্যামেরাম্যান মনির আহত হয়েছেন।

এর আগে সন্ধ্যা থেকেই বিপুল সংখ্যক পুলিশ শাহবাগের দিকে জড়ো হতে থাকে। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী এদিন দুপুর ২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের পদযাত্রা শুরু হয়। পরে রাজু ভাস্কর্য হয়ে নীলক্ষেত ও কাঁটাবন ঘুরে পদযাত্রাটি শাহবাগ মোড়ে আসে। এরপর বিকাল ৩টা থেকে শাহবাগেই অবস্থান নেয় তারা।