শিগগিরই তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি সই

শিগগিরই সমতা, ন্যায়ানুগতা এবং পারস্পরিক ক্ষতি না করার নীতির ভিত্তিতে তিস্তা নদীর পানি বন্টন চুক্তি সম্পাদন করা হবে।

মঙ্গলবার ১৬ জানুয়ারি সংসদে সরকারি দলের সদস্য মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া তারকা চিহ্নিত এক প্রশ্নের জবাবে পানি সম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পানি সম্পদ মন্ত্রীর পক্ষে প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম বলেন, ভারতের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে তিস্তা পানি বন্টন চুক্তি স্বাক্ষরের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর তিস্তা নদীর পানি বন্টন চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করে বিভিন্ন পর্যায়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে প্রকাশিত ইশতেহারে শুকনো মৌসুমে তিস্তা নদীর পানি স্বল্পতার কারণে দুই দেশের জনদুর্ভোগের কথা অনুধাবন করে জরুরি ভিত্তিতে তিস্তা নদীর পানি বন্টন বিষয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া প্রয়োজন বলে উল্লেখ রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীদ্বয়ের দিক-নির্দেশনার প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে তিস্তা নদীর অন্তর্বর্তীকালনি পানি বন্টন চুক্তির ফ্রেমওয়ার্ক চূড়ান্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মাত্র ৬ মাসের মধ্যে ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের মধ্যে শুকনো মৌসুমে ফারাক্কায় গঙ্গা নদীর প্রবাহ বন্টনের লক্ষ্যে ৩০ বছর মেয়াদী ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদ অনুসরণে ১৯৯৬ সাল থেকে প্রতিবছর শুকনো মৌসুমে ফারাক্কায় গঙ্গা নদীর পানি বন্টন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

আজকের বাজার:এলকে/১৭ জানুয়ারি ২০১৮