ঢাকায় বাসাবাড়ির ছাদেই ১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব

Green planet earth with solar energy batteries installed on it

রাজধানী ঢাকা শহরের বাসাবাড়ির ছাদগুলো ব্যবহার করে প্রায় ১ হাজার মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

তিনি বলেন, নেট মিটারিং-এর মাধ্যমে ছাদ ব্যবাহর করে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনকে জনপ্রিয় করা হচ্ছে। নবায়নযোগ্য উৎস হতে ১০ ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনের নীতিমালা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবীতে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ফিউচার এনার্জি সামিট (ডাব্লুএফইএস)-এর সমাপনী দিনে ‘দ্য ফিউচার ওফ সিটিস : পাওয়ার অ্যান্ড ওয়াটার’ বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

নসরুল হামিদ বলেন, আগামী দিনের সৃজনশীল শহরের বিদ্যুৎ ও পানির চাহিদা পূরণে প্রয়োজন পেশাদারিত্বের সাথে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো। প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি ও উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আগামীর চাহিদা সমনে রেখেই বিদ্যুৎ ও পানির সরবরাহ নিশ্চিত করা দরকার। এর সাথে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। স্থিতিশীল পণ্য সরবরাহ ও প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান উন্নত শহরের জন্য অপরিহার্য।

তিনি বলেন, আগামী দিনের প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে এলপিজি বাংলাদেশে প্রাধান্য পাবে এবং এটা গাড়িতেও ব্যাবহর করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে এলএনজির পাশাপাশি কয়লাকেও রেখেছি।

সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ ব্যবহার ও বিদ্যুতের সাশ্রয় নিয়ে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভূগর্ভস্থ কেবল ও সাবষ্টেশন, ছোট ট্রান্সফরমার, প্রিপেইড মিটার, সচেতনতা বৃদ্ধি, ইআরপি, স্কেডা ইত্যাদি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্মার্ট শহর করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরের চারদিকে চারটি নদী আছে। সচেতনতা বাড়ানোর মাধমে পানি সরবরাহ করা হলে ঢাকা শহর আরো প্রাণবন্ত হবে। জ্বালানি, পরিবেশ ও সমতার ওপর গুরুত্ব প্রদান করে ঢাকা শহরের আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।