শিশু জিহাদের ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের রায় বহাল

রাজধানীতে পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের পাইপে পড়ে শিশু জিহাদের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতি পূরণ দিতে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

এই আদেশের ফলে, এখন বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে ১০ লাখ এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষকে ১০ লাখ মোট ২০ লাখ টাকা জিহাদের পরিবারকে দিতে হবে।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রেলওয়ে এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষের করা আপিল খারিজ করে রোববার (৫ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।শিশু জিহাদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম ও বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শহিদুল ইসলাম।

এ বিষয়ে আইনজীবী আব্দুল হালিম সাংবাদিকদের জানান,রাজধানীতে পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের পাইপে পড়ে শিশু জিহাদের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতি পূরণ দিতে হাইকোর্টের রায় দেন। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন তারা। আজ ওই লিভ টু আপিল খারিজ করেছেন আপিল বিভাগ। এতে করে হাইকোর্টের দেয়া ক্ষতিপূরণের ক্ষতিপূরণের রায় বহালই থাকলো।

প্রসঙ্গত: ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর নগরীর শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনিতে পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের পাইপে পড়ে মারা যায় চার বছরের শিশু জিহাদ। পরে ওই ঘটনায় সরকারি সংস্থাগুলোর দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগ তুলে শিশুর পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন চিলড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন।

পরে ২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট জিহাদের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে রায় দেন হাইকোর্ট। রেলওয়ে ও ফায়ার সার্ভিসকে দশ লক্ষ করে টাকা ৯০ দিনের মধ্যে জিহাদের পিতা-মাতার কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ এ দেন আদালত।

হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মোঃ ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় দেন।

২০১৭ সালের ১০ অক্টোবর পূর্ণাঙ্গ এই রায় প্রকাশ করা হয়। রায়ে বলা হয়েছে, হাইকোর্টের এই আদেশের পরেও অন্য আইনে রেলওয়ে বা ফায়ার সার্ভিসের দায় থাকলে উক্ত দায় থেকে তারা মুক্তি পাবেন না।

আজকের বাজার/এমএইচ