শীতকালীন সবজিতে স্বস্তি যশোরের ক্রেতাদের

জেলার ৮ উপজেলার হাট-বাজার এখন শীতকালীন সবজিতে ভরপুর। ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রকার সবজির দাম কমে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে এসেছে।সবজির দাম কমে যাওয়ায় স্বস্তিতে কেনাকাটা করতে পারছেন জেলার নিম্নবিত্ত,মধ্যবিত্তসহ সকল শ্রেণীর ক্রেতারা।

জেলা শহরের বড় বাজারসহ বিভিন্ন উপজেলার হাট-বাজারে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে,বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ফুল কপি ১০-১৫ টাকা দরে,বাঁধা কপি প্রতি কেজি ১০-১২ টাকা দরে,প্রতি কেজি শিম ২০ টাকা দরে, বেগুন প্রতি কেজি ১৫-২০টাকা দরে, পালংশাক প্রতি কেজি ১৫-২০ টাকা দরে, টমেটো প্রতি কেজি ২০টাকা দরে,ওলকপি প্রতিকেজি ১০-১৫ টাকা দরে, লাল শাক ও সবুজ শাক প্রতিকেজি ১৫-২০ টাকা দরে, মুলা প্রতিকেজি ২০ টাকা দরে, লাউ সাইজ ভেদে প্রতিটি ২০-২৫ টাকা দরে, নতুন আলু প্রতিকেজি ২০-২৫ টাকা দরে,পেঁয়াজের কালি প্রতি কেজি ১০-১৫ টাকা দরে, মিষ্টি কুমড়া প্রতিকেজি ২৫-৩০টাকা দরে, বরবটি প্রতি কেজি ২৫ টাকা দরে, গাজর প্রতি কেজি ৪০টাকা দরে, কাচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০টাকা দরে, নতুন পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৩০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অফিস সূত্রে জানা গেছে,চলতি মৌসুমে জেলার ৮ উপজেলায় ১৫হাজার ৩শ’ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির আবাদ হয়েছে।এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৩হাজার ৫শ’ ১০ হেক্টর জমিতে, চৌগাছা উপজেলায় ৩হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে,শার্শা উপজেলায় ২হাজার ২শ’৩০ হেক্টও জমিতে,মণিরামপুর উপজেলায় ১হাজার ৯শ’৬০ হেক্টর জমিতে,ঝিকরগাছা উপজেলায় ১হাজার ৭শ’৫০ হেক্টর জমিতে,বাঘারপাড়া উপজেলায় ১হাজার ১শ’৫০ হেক্টর জমিতে,কেশবপুর উপজেলায় ৯শ’৭৪ হেক্টর জমিতে এবং অভয়নগর উপজেলায় ৫শ’২৬ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির আবাদ হয়েছে।বিভিন্ন এলাকার মাঠে শীতকালীন সবজির ফলনও ভালো হয়েছে। এ জেলার ৮উপজেলায় মোট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩লাখ ৫১ হাজার ৯শ’ মেট্রিক টন।

যশোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মইনুল জানান,সদর,চৌগাছা,ঝিকরগাছা,বাঘারপাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা শীতকালীন সবজি উৎপাদনের জন্য উর্বর ভুমি।এখানে উৎপাদিত বিষমুক্ত সবজির চাহিদা সর্বত্র রয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: মঞ্জুরুল হক জানান, শীতকালীন সবজি চাষের জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংক সহজশর্তে চাষিদের ঋণ দিয়েছে।মৌসুমের শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান