শূন্য কক্সবাজার, প্রতিদিন ক্ষতি ৬০ কোটি

করোনার প্রভাবে পর্যটন নগরী কক্সবাজার পর্যটক শূন্য হয়ে পড়ায় বেকার হয়ে পড়েছেন ১০ হাজার কর্মচারী। এই অবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হলে আরও ৫০ হাজার কর্মচারী বেকার হয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। এছাড়া পর্যটন খাতে প্রতিদিন লোকসান গুণতে হচ্ছে ৬০ কোটি টাকা। তবে লোকসান হলেও দেশের স্বার্থে এটি সবাইকে মেনে নিতে হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত; যেখানে দেশি-বিদেশি হাজারো পর্যটকের পদচারণা মুখরিত থাকতো প্রতিদিন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে সেই চিরচেনা সাগর তীর পাল্টে গেছে। এখন জনমানব শূন্য। প্রতিটি পয়েন্টে টাঙানো হয়েছে লাল পতাকা, বসানো হয়েছে চেকপোষ্ট। ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে সৈকতের সহস্রাধিক দোকান-পাট, বাধ্যতামূলক ছুটিতে ১০ হাজার কর্মচারি। শাটডাউন রয়েছে সাড়ে ৪ শতাধিক হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট। ফলে চরম অনিশ্চিতায় মধ্যে রয়েছেন এসব হোটেল মোটেল ও রিসোর্টের কর্মচারিরা। এই অবস্থা চলতে থাকলে জেলার পর্যটন খাতে বড় একটা ধস নামার আশঙ্কা করছেন হোটেল মালিক সমিতির এ নেতা।

হোটেল কক্স-টুডে’র ব্যবস্থাপক আবু তালেব শাহ বলেন, আমরা নিরুৎসাহিত করছি পর্যটকদের না আসার জন্য। তবে পর্যটন খাতেও একটি বড় ধ্বস আসছে। আর চেম্বার সভাপতি জানালেন, পর্যটন খাতে লোকসান হলেও দেশের স্বার্থে এটি সবাইকে মেনে নিতে হবে এখন। আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, আসলে কিছুই আমাদের করার নাই। এখানে সবার লস হচ্ছে আর এটা আমাদের মেনে নিতেই হবে। পর্যটনের এই ভরা মৌসুমে প্রতিদিন কক্সবাজারে আসতেন ৫০ হাজারের বেশি পর্যটক। আর সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার ছাড়িয়ে যেতো লাখের ওপরে।

আজকের বাজার/শারমিন আক্তার