সমুদ্র বন্দরসমূহে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে সর্বশেষ ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এর আগে শনিবার (২১ জুলা্ই) বন্দরসমূহকে এক নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছিল।

আবহওয়া অফিস জানায়, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে অনতিবিলম্বে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

আবহওয়া অফিস আরো জানায়, উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ-উড়িষ্যা উপকূলে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে মৌসুমী নিম্নচাপে পরিণত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছিল। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে এবং এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

মৌসুমী নিম্নচাপটি আজ দুপুর ১২ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২০৫ কিঃ মিঃ পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২০২ কিঃ মিঃ পশ্চিমে, মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৯৬৫ কিঃ মিঃ দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১০৪০ কিঃ মিঃ দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সন্ধ্যা/রাতের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ-উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

মৌসুমী নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিঃ মিঃ এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৪০ কিঃমিঃ যা দম্কা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিঃ মিঃ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।

নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, লক্ষীপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৩ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

আবহাওয়া অফিস আরও জানায়, আগামী ৪৮ ঘন্টায় ভারী থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ৩০টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পারে।

আজকের বাজার/একেএ