‘সিটি নির্বাচন নিয়ে স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক আশঙ্কা’

খুলনা ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক আশঙ্কা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে খুলনা ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রার্থীদের তথ্য উপস্থাপন নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তারা এই দুটি সিটি কর্পোরেশন এলাকায় কাজ করতে গিয়ে তা দেখতে পেয়েছেন। এ সময় প্রার্থীদের হলফনামায় দেওয়া তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখার দাবি জানান তারা।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, হলফনামায় তথ্য গোপন করা ফৌজদারি অপরাধ। এ অপরাধে ইসি সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করতে পারেন। আমরা আশা করি ইসি এ অস্ত্র ব্যবহার করবে।

এ সময় আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, স্বল্প সময়ের মধ্যে সব প্রার্থীর হলফনামার তথ্য যাচাই করা দুরূহ। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর নির্বাচিতদের তথ্য ৭ দিনের মধ্যে যাচাই করা যেতে পারে। কারও তথ্য গোপনের বিষয়টি প্রমাণিত হলে তার প্রার্থিতা বাতিল করা যেতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গাজীপুরে প্রার্থীদের মধ্যে ৪৬ দশমিক ৬৬ শতাংশের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে। তবে মেয়র প্রার্থীরা সবাই স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পাস করেছেন। খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে। গাজীপুরে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী মিলিয়ে ৩৪৫ জনের মধ্যে ২১৯ জনের পেশা ব্যবসা। খুলনায় ১৯২ জনের মধ্যে ১২৬ জনের পেশা ব্যবসা।

এস/