সেপ্টেম্বরেও সেরা প্রকৌশল খাত

ডিএসইর তথ্য মতে, সেপ্টেম্বর মাসে ডিএসইতে ৩৩ হাজার ৮৪৭ কোটি ৬ লাখ ৪১৩টি শেয়ারের ১৪ হাজার ৭৫৪ কোটি ৮৫ লাখ ৫৩ হাজার ১৭ টাকার লেনদেন হয়েছে। এর আগে আগস্ট মাসে ১১ হাজার ৪৯৫ কোটি ২৫ লাখ ৯০ হাজার ৩৬৭ টাকা লেনদেন হয়েছিলো। যা গত মাসের চেয়ে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে।

সেপ্টেম্বর মাসে পৌনে ১৫ হাজার কোটি টাকা লেনদেনের মধ্যে প্রকৌশল খাতের শেয়ার কেনা-বেচা বাবদ লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৭৭৩ কোটি ৬৯ লাখ ৮২ হাজার ৮১৩ টাকা। ফলে আগস্ট মাসে সাড়ে ২ হাজার ৪২১ কোটি টাকা লেনদেনে হয়ে শীর্ষে থাকা বস্ত্র খাতকে টপকে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে এখাত।

আর ‍আগস্টে শীর্ষে থাকা বস্ত্র খাতের শেয়ারের সেপ্টেম্বর মাসে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ২১০ কোটি ৪৯ লাখ ৫৭ হাজার ৬০৯ টাকা। যা শতাংশের হিসাবে ১৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এরফলে এ খাতটি তৃতীয় স্থানে নেমে এসেছে।

এদিকে আগের মাসে ৬ষ্ঠ স্থানে থাকা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত সেপ্টেম্বর মাসে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। বিদায়ী মাসে এখাতে ২ হাজার ৫৩১ কোটি ৮৯ লাখ ১২ হাজার ৮২ টাকা লেনদেন হয়েছে। যা মোট লেনদেনের ১৭ দশমিক ১০ শতাংশ।

চতুর্থ স্থানে দখল করেছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। বিদায়ী মাসে এ খাতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬২১ কোটি ২০ লাখ ৭৭ হাজার ৬২৪ টাকা। যা মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

আর বাকি খাতগুলোর লেনদেন হয়েছে হাজার কোটি টাকার নিচে। এর মধ্যে পুঁজিবাজারের ‘প্রাণ’ খ্যাত ব্যাংক খাতের লেনদেন হয়েছে ৭৯৪ কোটি ৫৭ লাখ ১৯ হাজার ৬৭০ টাকা। আর্থিক খাতের শেয়ারের লেনদেন হয়েছে ৮৪৫ কোটি ৩৭ লাখ ৪৬ হাজার ৪৯৯ টাকা। বিমা খাতে লেনদেন হয়েছে ৬৩১কোটি টাকার বেশি।

অন্যদিকে সেপ্টেম্বর বিবিধ খাতে ৬৪৭ কোটি ৯৯ লাখ ২৩ হাজার ২ টাকা, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ৪৭৪ কোটি টাকা, ট্যানারি খাতে ২১১ কোটি টাকা, আইটি খাতে ৪২২ কোটি টাকা, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ১২১ কোটি টাকা, সেবা খাতে ২১৪ কোটি টাকা, সিমেন্ট খাতে ১৬৮ কোটি টাকা, সিরামিক খাতে ১৬৮ কোটি টাকা, টেলিযোগাযোগ খাতে ২৭৬ কোটি টাকা, ট্রাভেলস খাতে ৩৪০ কোটি টাকা, পাট খাতে ৩০ কোটি টাকা এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৬৮ কোটি টাকার শেয়ারের লেনদেন হয়েছে।
জাকির/আজকের বাজার