সোমবারের মধ্যে শহিদুলের ওপর পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবেদন চায় আদালত

আলোকচিত্রী ও মানবাধিকার কর্মী ড. শহিদুল আলমকে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতন করা হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে তার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইর্কোট। আগামী সোমবারের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিবকে এ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ায় রবিবার রাতে ধানমণ্ডি বাসা থেকে দৃক গ্যালারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান শহিদুল আলমকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে গত সোমবার তার বিরুদ্ধে রমনা থানায় আইসিটি আইনে মামলা করা হয়।

একই দিনে ডিবি পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আরমান আলী এই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্রীকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান নূর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মঙ্গলবার শহিদুল আলমের স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ রিমান্ডের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন। হাইকোর্ট রিটের শুনানি নিয়ে শহিদুল আলমকে চিকিৎসার জন্য অবিলম্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) পাঠাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়। সেই সাথে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়।

বৃহস্পতিবার জমা দেয়া প্রতিবেদন দেখে আদালত বলে, শহিদুল আলমের স্বাস্থ্যগত অবস্থা ভালো আছে। প্রতিবেদনে অস্বাভাবিক কিছু আসেনি। এসময় আসামি পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসনে বলেন, প্রতিবেদনে মানসিক নির্যাতনের বিষয়ে কোনো তথ্য নেই। তিনি ‘হেফাজতে মৃত্যু ও নিবারণ আইন’ অনুযায়ী শহিদুল আলমের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার আবেদন জানান।

আজকের বাজার/এমএইচ