সোলাইমানিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ইরাকিদের ঢল

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) কুদ্স ফোর্সের প্রধান মেজর জেনারেল কাসেম সোলাইমানি এবং হাশদ আশ শাবির সেকেন্ড ইন কমান্ড আবু মাহদি আল মুহানদিসের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ইরাকের বিভিন্ন শহরে লাখ মানুষ সমবেত হয়েছেন।

রাজধানী বাগদাদে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন অসংখ্য মানুষ। সেখানে মানুষের ভিড়ের কারণে এগোতে পারছিল না সোলাইমানির লাশবাহী গাড়িটি। ইরাকের কাজেমাইন শহরে লাখ মানুষ তাদের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এরপর তাদের মরদেহ নাজাফ ও কারবালায় নিয়ে যাওয়া হবে। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ওই দুই শহরেও লাখ লাখ মানুষ অপেক্ষা করছেন বলে জানা গেছে।

বাগদাদে অবস্থিত ইরানের দূতাবাস থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইরাকি জনগণের অনুরোধের কারণেই ইরানের জেনারেল সোলাইমানিসহ দেশটির শহীদদের মৃতদেহও কারবালা এবং নাজাফে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে ইরাকি জনগণ তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

শনিবার বিকেলে কাসেম সোলাইমানিসহ পাঁচ ইরানি সেনা কর্মকর্তার মৃতদেহ ইরানে পৌঁছার কথা রয়েছে। এরপর মৃতদেহ মাশহাদে ইমাম রেজা (আ.)’র মাজারে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে কিছু ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন শেষে রোববার তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনি নিজে জানাজা পড়াবেন বলে জানিয়েছে এক সূত্র। এরপর নিজ প্রদেশ কেরমানে কাসেম সোলাইমানিকে দাফন করা হবে।

শুক্রবার সকালে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মাার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন কাসেম সোলাইমানিসহ আরো ১০ জন। নিহতদের মধ্যে আইআরজিসি’র কমান্ডার কাসেম সোলাইমানিসহ পাঁচ জন ইরানি এবং হাশদ আশ শাবির সেকেন্ড ইন কমান্ড আবু মাহদি আল মুহানদিসহ পাঁচ জন ইরাকি ছিলেন।

আজকের বাজার/এমএইচ