সৌদি আরবে ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ছবি প্রকাশ

স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবি ও বিশেষজ্ঞরা ইঙ্গিত দিচ্ছেন যে সৌদি আরব ভূখণ্ডের অনেক ভেতরে থাকা একটি সামরিক ঘাঁটিকে দেখে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এবং সম্ভবত নির্মাণকেন্দ্র বলে মনে হচ্ছে।

যদিও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি চালানোর জন্য সৌদি আরব নিজে দীর্ঘদিন ধরে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের সমালোচনা করে আসছে।

সৌদি আরবের ক্ষমতাধর যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের মন্তব্যও দেশটির এ ধরনের কর্মসূচি চালানোর সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। গত বছর তিনি বলেছিলেন, ইরান যদি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করে তাহলে তার দেশও সেটি করতে দ্বিধা করবে না। দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে পারমাণবিক অস্ত্র বহন করে নিয়ে যেতে পারে।

এ বিষয়ে রিয়াদ ও ওয়াশিংটনে সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবিগুলো বিশ্লেষণকারী ক্যালিফোর্নিয়ার মিডলবারি ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের ক্ষেপণাস্ত্র বিশেষজ্ঞ জেফরি লুইস বলেন, ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে মোটা বিনিয়োগ প্রায়ই পারমাণবিক অস্ত্রের আকাঙ্ক্ষার সাথে সম্পর্কযুক্ত হয়। ‘এ বিষয়ে সৌদির উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে আমরা ছোট করে দেখছি বলে আমি কিছুটা চিন্তিত।’

প্রথমে ওয়াশিংটন পোস্টে ছাপা হওয়া এসব ছবি রাজধানী রিয়াদের ২৩০ কিলোমিটার পশ্চিমে আল-দাওয়াদমি শহরের কাছের একটি সামরিক ঘাঁটির। জেন’স ডিফেন্স উইকলি ম্যাগাজিন ২০১৩ সালে প্রথম এ ঘাঁটি সনাক্ত করে। এতে চীন থেকে কেনা ক্ষেপণাস্ত্রসহ দুটি উৎক্ষেপণ প্যাড থাকার কথা বলা হয়, যেগুলো ইসরায়েল ও ইরানের দিকে তাক করা ছিল।

নভেম্বরের স্যাটেলাইট ছবি দেখে মনে হয়, সেখানে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি ও জ্বালানির যোগান দেয়ার মতো যথেষ্ট বড় কাঠামো রয়েছে। ঘাঁটির এক কোণে রকেট-ইঞ্জিন পরীক্ষা করার কাঠামোর মতোও কিছু একটা দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, কার্যকর ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণে সৌদি আরবের চেষ্টায় এ ধরনের পরীক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

ওয়াশিংটনের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাবিষয়ক সিনিয়র ফেলো মাইকেল এলম্যানও স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবিগুলো যাচাই করেছেন এবং তার মতে, ছবিগুলো দেখে ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বলে মনে হচ্ছে। তথ্য-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ