সৌদি দূতাবাসে সাংবাদিক খাশগোগিকে হত্যার অভিযোগ

তুরস্ক মনে করছে নিখোঁজ সাংবাদিক খাশগোগিকে সৌদি দূতাবাসের অভ্যন্তরেই হত্যা ও পরে লাশ গুম করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) ইস্তাম্বুলের সৌদি দূতাবাসের অভ্যন্তরে প্রবেশের পর থেকে, দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাশগোগির আর হদিস মিলছে না। খবর আল-জাজিরা।

তুরস্কের এক মুখপাত্র রয়টার্সকে জানান, পুলিশের প্রাথমিক পর্যালোচনায় মনে হচ্ছে, খাশগোগিকে দূতাবাসের ভিতরেই খুন করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি এ হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত এবং পরবর্তীতে মৃতদেহটি দূতাবাসের বাইরে সরিয়ে নেওয়া হয়।

তবে সৌদি দূতাবাস এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তুরস্কের দাবি ভিত্তিহীন। কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল-ওতাবিয়া বলেন, আমি নিশ্চিত করতে চাই, জামাল খাশগোগি দূতাবাসের ভিতরে নেই। তাকে খুঁজে পেতে আমরা অনুসন্ধান চালাচ্ছি।

এদিকে, সৌদি যুবরাজ প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, খাশগোগির নিখোঁজ হবার বিষয়ে দূতাবাসের ভিতরে অনুসন্ধান চালাতে তুরস্ককে অনুমতি দিবে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

তুরস্কে আল-জাজিরার এক প্রতিবেদক জানান, চার দিন আগে যেদিন খাশগোগি নিখোঁজ হয়েছিলেন সেদিনই ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ‍তুরস্কে এসেছেন। তারা দেশটির কূটনৈতিক না নিরাপত্তারক্ষী দলের সদস্য তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সৌদি দূতাবাস ইতোমধ্যে কিছু সাংবাদিককে ভবনটির ভিতরে ঢুকতে অনুমতি দিয়েছে। তুরস্কের ক্ষমতাসীন দল ও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারা খাশগোগির নিঁখোজ হওয়ার বিষয়টি উন্মোচন করবে। তারা এ ব্যাপারে গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছে ও সৌদি রাষ্ট্রদূতকে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

জামাল খাশগোগি, নিখোঁজ সাংবাদিক, সৌদি আরব, তুরস্ক
উল্লেখ্য, জামাল খাশগোগি সৌদি রাজতন্ত্র ও যুবরাজ সালমানের কঠোর সমালোচক ছিলেন। ওয়াশিংটন পোস্টে তার বিভিন্ন লেখায়, সৌদি আরবের কাতার ও কানাডা নীতি, ইয়েমেন যুদ্ধ ও দেশটির গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের বিষয়গুলো উঠে আসে। তিনি এক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছানির্বাসনে ছিলেন।

মঙ্গলবার দুপুরে বিয়ের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে খাশগোগি সৌদি দূতাবাস ভবনে প্রবেশ করেন। প্রবেশের আগে নিয়ম অনুসারে খাশগোগির মোবাইল ফোনও রেখে দেওয়া হয়। এরপর থেকে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছে না।

মানবাধিকার সংস্থা ইউম্যান রাইটস ওয়াচ খাশগোগির নিখোঁজের বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত আহ্বান করেছে।