স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্ত্রীকে বর্বর নির্যাতন

স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্ত্রীর ওপর বর্বর নির্যাতন চালিয়েছেন পাষণ্ড স্বামী।

রোববার (২২ জুলাই) দুপুরে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার চরহরিরামপুর ইউনিয়নের চরশালেপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, চরভদ্রাসন উপজেলার চরহরিরামপুর ইউনিয়নের চরশালেপুর গ্রামের শেখ রহম আলী (৪৫) ও শেফালী আক্তার (৩৫) দম্পতির তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।

গত একমাস ধরে রহম আলী পাশের গ্রামের এক মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়ান। বিষয়টি স্ত্রী শেফালী আক্তার জানতে পেরে স্বামীকে বাধা দেন।

এরই জের ধরে রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঘরের দরজা-জানালা আটকে স্বামী রহম আলী কাঠ দিয়ে স্ত্রী শেফালী আক্তারকে বেধড়ক মারধর করেন। গৃহবধূর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ঘরের দরজা-জানালা ভেঙে তাকে উদ্ধার করেন। পরে গৃহবধূকে চরভদ্রাসন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এদিকে, চরভদ্রাসন উপজেলা চেয়ারম্যান এজিএম বাদল আমিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে আহত গৃহবধূর খোঁজখবর নিয়েছেন। তিনি বলেন, গ্রামগঞ্জ ও চরাঞ্চলের বেশিরভাগ নারীরা প্রতিনিয়ত পুরুষের হাতে নির্যাতিত হচ্ছেন। আমি ওই পাষণ্ড স্বামীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন শেফালী আক্তার বলেন, স্বামী, তিন ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে আমার সংসার। গত একমাস ধরে স্বামী পাশের গ্রামের এক মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়ায়। পরকীয়ায় বাধা দিলে গত একমাস ধরে মাঝেমধ্যেই আমাকে মারধর করে স্বামী। ছেলে-মেয়েরা তার নানার বাড়িতে বেড়াতে গেলে রোববার দুপুরে একা বাড়িতে আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে মারপিট করে। এ সময় প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে আমি প্রাণে বেঁচে যাই।

চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জাহিদ হোসেন বলেন, শেফালী আক্তারের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে।

আহত গৃহবধূর স্বামী রহম আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার স্ত্রী অপরাধ করেছে তাই আমি পিটিয়েছি।

আপনার স্ত্রী কী ধরনের অপরাধ করেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনি পদ্মার চরে আসেন; তারপর বলব সে কী অপরাধ করেছে।

আজকের বাজার/আরআইএস