হাইকোর্টে জামিন পাননি বাছির

ঘুষ কেলেঙ্কারির মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের জামিন মেলেনি হাইকোর্টে। তবে তাকে কেন জামিন দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয় গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফারুক আলমগীর চৌধুরী।

এরআগে ২০১৯ সালের ২২ জুলাই দিনগত রাত পৌনে ১১টার দিকে দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যার নেতৃত্বে দুদকের একটি দল মিরপুরের দারুস সালাম এলাকা থেকে এনামুল বাছিরকে গ্রেফতার করে। পরের দিন ২৩ জুলাই জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েস তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন, কমিশনের তথ্যপাচার ও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে এর আগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে সংস্থাটির পক্ষ থেকে।

২০১৯ সালের ১৬ জুলাই ৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে পুলিশের বরখাস্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান ও দুদক পরিচালক এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের পরিচালক ও অনুসন্ধান দলের নেতা শেখ মো. ফানাফিল্যা বাদী হয়ে মামলা করেন।

খন্দকার এনামুল বাছির ১৯৯১ সালে অ্যান্টি করাপশন অফিসার (এসিও) হিসেবে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোতে যোগ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশন গঠিত হওয়ার পর তিনি সহকারী পরিচালক, উপপরিচালক ও পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পান।

আজকের বাজার/এমএইচ