হয়রানি করতেই দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ: তাবিথ আউয়াল

বিএনপির সহ সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে এবং দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল অভিযোগ করে বলেছেন, হয়রানি করতে তাঁকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ মে) দুপুরে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।
এর আগে সকাল ১০টা থেকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। এসময় তাঁকে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
দুদক থেকে বেরিয়ে তাবিথ আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশে যে রাজনীতি বিরাজ করছে আমি মনে করি, সব অ্যাকশনই সরকার থেকে একটি রাজনৈতিক প্রভাব খাটাতে চেষ্টা করছে। এটি খালি আমার একার বিষয় নয় যেটা আমি বললাম, সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার থেকে শুরু করে একদম আমাদের পার্টির সব সদস্য যারা আছেন।’
এর আগে গত ২৪ এপ্রিল তাবিথ আউয়ালকে তলব করে দুদক। তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।
তাবিথের বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি ১৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা নগদ উত্তোলন করেন তিনি। আর ১৮ ফেব্রুয়ারি তাবিথ আউয়ালের ন্যাশনাল ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে চার কোটি ৭৫ লাখ টাকা নগদ উত্তোলন করেন। ২২ ফেব্রুয়ারি একই ব্যাংক থেকে উত্তোলন করা হয় তিন কোটি ৭০ লাখ টাকা। দুটি চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করা এ টাকার মধ্যে তিন কোটি ২৫ লাখ উত্তোলন করা হয় নারায়ণগঞ্জ থেকে।
দুদক সূত্র জানায়, চলতি বছরই তাবিথ আউয়ালের বিরুদ্ধে এ অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। গত ২ এপ্রিল তাবিথ আউয়াল ও বিএনপির জ্যেষ্ঠ সাত নেতাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
তাদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং, সন্দেহজনক ব্যাংক লেনদেনসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তাবিথ আউয়াল ছাড়া অন্য যেসব নেতাকে বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে তারা হলেন- স্থায়ী কমিটির চার সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মির্জা আব্বাস, দুই ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু ও এম মোর্শেদ খান, যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেল। এ ছাড়া এম মোর্শেদ খানের ছেলে খান ফয়সাল মোর্শেদ খানও অভিযুক্ত।
আজকের বাজার/ এমএইচ