২০৩০ সালের মধ্যে দেশের প্রতি পরিবারে একজন ক্যান্সার রোগে আক্রান্তের আশংকা

২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি পরিবারে অন্তত একজন সদস্য কোন না কোন ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে।
ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সী ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার (আইএআরসি) এর নিরীক্ষার উদ্বৃতি দিয়ে এ আশংকা প্রকাশ করা হয়েছে। নিরীক্ষা অনুযায়ী বাংলাদেশে ২০৩০ সালের মধ্যে ক্যান্সার রোগের কারণে মৃত্যুর হার শতকরা ১৩ ভাগ বৃদ্ধি পেতে পারে।
আজ সংসদ ভবনে ঢাকা মহানগর এলাকায় ক্যান্সার স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও ব্রেইন ফাউন্ডেশন স্পেশালাইজড হাসপাতাল কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্পের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদী স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেননের সাথে সাক্ষাতকালে এ তথ্য জানান ।
প্রতিনিধিদলের দেশে ক্রমবর্ধমান ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে তাৎক্ষনিক বিশেষায়িত চিকিৎসা প্রদানের প্রয়োজনে প্রশিক্ষিত ডাক্তারদের সমন্বয়ে একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের গুরুত্ব তুলে ধরেন । তারা সকল স্তরের মানুষের জন্য চিকিৎসাসেবা সহজলভ্য করার ব্যাপারে সভাপতিকে অবহিত এবং আলোচনা ও মত বিনিময় করেন।
এ সময় রাশেদ খান মেনন বলেন, ক্যান্সার ও নিউরো চিকিৎসার মতো ব্যয়বহুল চিকিৎসা ব্যবস্থা দেশে প্রতিষ্ঠিত হলে বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য আশীর্বাদস্বরুপ হবে। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশমুখীতা দূর হবে।
আলোচনাকালে জানানো হয়, মূলত ক্যান্সার রোগের একাডেমিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও দেশের সাধারণ মানুষের কাছে জটিল ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা খরচ সহজলভ্য করার জন্য মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে গঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ক্যান্সার রিসার্চ সেন্টার (বিসিআরসি)।
সভায় আরো জানানো হয়, বাংলাদেশে নিউরোলজিক্যাল ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমশঃ বেড়ে চলেছে। এমতাবস্থায়, বাংলাদেশ সরকারের সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান ‘ব্রেইন ফাউন্ডেশন’ দেশের সাধারণ মানুষের কাছে ¯œায়ূ রোগের সময়সাপেক্ষ চিকিৎসা খরচ সহজলভ্য করার মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে একটি আধুনিক বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণ করার জন্য গঠিত হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউরোসার্জারী বিভাগের অধ্যাপক, স্থাপত্য অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান স্থাপতি, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের অনকেলজী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপকসহ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।