২২৫ জনের নামের ট্যাটু এঁকে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন যুবক

অন্যরকম এক ফ্যাশন। দূর দেশ থেকে এখন নিজ দেশে। শুরুটা হয়েছে বেশ আগেই। শরীরের বিভিন্নস্থানে উল্কি বা ট্যাটু এঁকে তা প্রদর্শন করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে ছেলে-মেয়েরা। যদিও এই ট্যাটুর গ্রাহক মূলত তরুণীরা। তাদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে আঁকা হচ্ছে ট্যাটু। বুকে, পিঠে, উরুতে আঁকা হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের ছবি, নকশা।

বিভিন্ন ভাষায় লেখা হচ্ছে প্রিয়জনের নাম। তা আবার বিভিন্ন কায়দায় প্রদর্শন করা হচ্ছে। ফেসবুকে সেলফি দিয়ে, হাত বা পিঠের ট্যাটু আঁকা স্থানটি খোলা রেখে ফ্যাশন করছে তারা। তবে কখনো কি শুনেছেন? পিঠে মানুষের নাম লিখে ট্যাটু আঁকতে? তাও আবার একজন, দুইজন নয়, ২২৫ জনের নামে ট্যাটু। কি বিশ্বাস হচ্ছে না? বিশ্বাস না হলেও ঘটনাটি সত্যি। এমনটাই করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা শহরের বাসিন্দা ফাংকি মাটাস। তিনি নিজের পিঠে ২২৫ জনের নামে ট্যাটু আঁকিয়ে বিশ্ব রেকর্ড করেছেন।

সম্প্রতি তিনি একটি গণমাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, দর্শকের ভালোবাসাই আমাকে বিনোদন তারকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ট্যাটু এঁকে বিশ্ব রেকর্ড করা ফাংকি মাটাস। ফাংকি মাটাসের প্রকৃত নাম জুয়ান মাটাস। একজন ট্যাটুশিল্পী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। আস্তে আস্তে অর্জন করেছেন বিনোদন তারকার খ্যাতি। ট্যাটুশিল্পী হিসেবে ভিন্ন ঘরানার কিছু করার ইচ্ছে অনেক আগে থেকেই তার মনে ছিল। সেই ইচ্ছে ও আগ্রহের জায়গা থেকেই পিঠে স্বাক্ষর করা ট্যাটু লাগান তিনি।

ফাংকি মাটাস বলেন, আমার সঙ্গে কেউ কথা বলতে এলে সবার আগে তারা আমার ট্যাটুর দিকে তাকায়। অনেকে আবার আমার বাউণ্ডুলে জীবন সম্পর্কে এরই মধ্যে জেনে গেছেন। আমি সবকিছু নিজের মতো করে নেই। তাই কেউ আমাকে এর থেকে বিরত থাকার উপদেশ দিবেন না।

সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে ফাংকি মাটাস পিঠে আঁকা সিগনেচার ট্যাটুর কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছে। অনেকে সেগুলো পছন্দ করেছেন। অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী আবার সেগুলোতে মন্তব্যও করেছেন। তেমনই একজন হোমেরোগ্যালোডুমিউজিক। তিনি ছবিতে ভালোবাসা প্রকাশের ইমোজি ব্যবহার করেছেন। তবে বেশিরভাগ মন্তব্যে ট্যাটু সম্পর্কে সাধারণ মানুষের আগ্রহের বিষয়টি উঠে এসেছে।

এ প্রসঙ্গে ফাংকি বলেন, আপনি যদি আমার পিঠের ট্যাটুগুলো দেখেন, এর মধ্য দিয়ে আমি অনুপ্রাণিত হবো। এক ইন্সটাগ্রাম পোস্টে ফাংকি মাটাস বলেন, অধ্যবসায় ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আমি ট্যাটুশিল্পী হিসেবে সমাদর পেয়েছি। দর্শকরাই আমাকে আমার লক্ষ্যে পৌঁছে দিয়েছেন। তথ্য-ডেইলি বাংলাদেশ

আজকের বাজার/আখনূর রহমান